যশোর জেনারেল হাসপাতালের রেড ও ইয়োলোজোনে চিকিৎসাধীন আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন করোনায় ও পাঁচজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। বৃহস্পতিবার যশোর জেলায় নতুন করে আরো তিনশ’ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের রেডজোনে করোনায় মৃত ৪ জন হলেন, মণিরামপুর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের মোহম্মদ আলী (৬০), শার্শা উপজেলার সাদিপুর গ্রামের সালেহা বেগম (৬৫), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কুলতলা গ্রামের রোকেয়া পারভিন (৩০) ও যশোর সদর উপজেলার সিলিমপুর গ্রামের সালেহা খাতুন (৫৫)।
ইয়োলোজোনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের আয়শা বেগম (৬৫), ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়ার মিজানুর রহমান (৪০), শহরের বেজপাড়া এলাকার আলাউদ্দীন (৭৫), হালসা গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৬০) ও মণিরামপুর উপজেলার স্বরপকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬৫)। বর্তমানে হাসপাতালের রেডজোনে চিকিৎসাধীন আছেন ৯১ জন ও ইয়োলোজোনে ৩৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রেহেনেওয়াজ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে পাঁচশ’ ২৯টি নমুনায় দুশ’ ১৬ জন ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন দুশ’ ১৬ জনের পরীক্ষায় ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৪৪ হাজার নয়শ’ ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার পাঁচশ’ ৭০ জন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার চারশ’ ৬৯ জন, মারা গেছে ১৫২ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন চার হাজার আটশ’ ৪৬ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে একশ’ তিনজন। এ পর্যন্ত র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার সাতশ’ ৩৭ জনের।
যশোর পৌরসভার তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত শহরের নয়টি ওয়ার্ডে এক হাজার নয়শ’ ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে একশ’ ৬৪ জন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে একশ’ ১৯ জন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনশ’ ২২ জন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনশ’ চারজন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনশ’ তিন জন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুশ’ ৩৮ জন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৬ জন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিনশ’ ১২ জন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একশ’ ২৩ জন। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয় বেশি।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রোগীর চাপ থাকলেও তা সামাল দিতে সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।