যশোর সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের মেহগনি বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি বিল্লাল হোসেন মিয়াদ নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের। তিনি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ছোট বাদুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
উদ্ধারকৃত কঙ্কালের সাথে পুরনো লুঙ্গী দেখে চিনতে পেরেছেন তার স্ত্রী শারমিন। তিনি ধারণা করেছেন ওই কংকালটি তার স্বামীর। এ দাবির প্রেক্ষিতে তিনি কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ।
মামলায় শারমিন উল্লেখ করেন, ২০১২ সালে মিয়াদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মাঠপাড়ার গ্রামে স্বামী, সন্তান নিয়ে তারা বসবাস করেন। তার স্বামী মিয়াদ অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ২১ জুন বিকেলে ৫টার দিকে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মিয়াদ। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন ২২ জুন কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়।
পিবিআই এর এসআই ডিএম নুর জামাল বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি নিখোঁজ মিয়াদের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। কিন্তু তাতে সীমকার্ড ছিলো না। এরই মাঝে গত ৩ জুলাই সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের রেজাউলের মেহগনি বাগানের মধ্যে থেকে একটি নর কঙ্কাল উদ্ধার করে কোতয়ালি থানার পুলিশ। কঙ্কালের সাথে পরনের কাপড়ও উদ্ধার করা হয়।
এরপর গত ১৬ জুলাই শারমিনকে ফোন করে পিবিআই অফিসে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে গেলে তাকে কোতোয়ালি থানায় নেয়া হয় এবং ক্ষিতিবদিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত নর কঙ্কালের সাথে পরিহিত লুঙ্গী তাকে দেখানো হয়। ওই লুঙ্গী দেখে তিনি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।
তার ধারনা ঘটনার রাতে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা তার স্বামীকে হত্যা করে অটো রিকসাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং লাশ মেহগনি বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। যা পরবর্তীতে শিয়াল কুকুরের খাদ্যে পরিনত হয় এবং পঁচে, গলে কঙ্কাল হয়ে যায়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ