যশোরের আফিল জুট উইভিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে শার্শা উপজেলার আফিল জুট উইভিং মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ১টার সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছেন। বেনাপোল, কলারোয়া, ঝিকরগাছা ও যশোরের ৬টি ইউনিট ২ ঘন্টা চেস্টার পর বেলা ৩টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভয়াবহ আগুনে শত কোটি টাকার পাট ও মিলের মেশিন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় শত শত নারী পুরুষ শ্রমিক মিলের মধ্যে কাজ করছিল।
এ সময় তাড়াহুড়া করে বেরুতে গেলে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালসহ আশেপাশের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আখের আলী (৫০) নামে একজন শ্রমিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মিলের কয়েকজন শ্রমিক জানান, আমরা সবাই কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে মিলের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুণ জ্বলতে দেখে আমরা সবাই বের হয়ে আগুণ নেভাতে থাকি। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভাতে থাকে। আগুণে আমাদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন এমপি মহোদয়ের জুট মিলে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করি। পরে অন্যান্য ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা এসে আমাদের সাথে যোগ দেন। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বৈদুত্যিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তদন্ত না করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বলা না গেলেও শত কোটি অনুমান করা হচ্ছে। প্রচুর পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মেশিনপত্র পুড়ে নস্ট হয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়েছে।
আফিল উইভিং জুট মিলের জেনারেল ম্যানেজার আহাদ আলী জানান, হঠাৎ করে মিলের মধ্য থেকে ধোয়া দেখা যায়। আস্তে আস্তে মিলের চতুর্দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে মিলে থাকা মেশিনারিজসহ শত কোটি টাকার অধিক মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।