যশোরে আদালতের আদেশ অমান্য করায় সদরের ইছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসী ইয়াসমিনকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এক আদেশে এ কারাদন্ড দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ৩ নম্বর ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই যশোর সদরের সরুইডাঙ্গা গ্রামের আনার আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম সদর আমলী আদালতে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছিল ইছালী পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানকে। তৎকালিন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যশোর সদরের ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌসী ইয়াসমিনকে।
এ মামলার ১১ টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পর আদালত ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যনকে নোটিশ দেন। এতে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেয়ার কথা বলা হয়। এরপরও ১০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আদালতে হাজির হননি। ওই বছরের ২৫ জুলাই ২১ নম্বর আদেশে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেয়ার কারণ জানতে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এদিন রোববারও তদন্তকারী কর্মকর্তা ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হননি।
বারবার তাগাদা দেয়া সত্তেও তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান সময়ের প্রর্থনা বা প্রতিবেদন জমা দেননি। ফলে আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিচারক তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে মামলার তদন্তভার পরিবর্তন করে পিবিআই যশোরকে দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে