যশোরের আদালতে মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানবপাচারের অভিযোগ এনে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল ইসলাম এ মামলাটি করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তার স্ত্রী পান্না ও ছেলে জহির উদ্দীন দিপু। আসামিরা বর্তমানে সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের রেললাইন সংলগ্ন মসজিদের পাশে বসবাস করেন।
মামলায় রেজাউল ইসলাম বলেছোন, তিনি পেশায় একজন কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর শ্বশুর বাড়ি তার গ্রামে। তাকে ওমানে পাঠিয়ে ভালো কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকরি দেয়ার জন্য মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তার স্ত্রী পান্না ও ছেলে জহির উদ্দীন দিপু নানা প্রলোভন দেন। ভালো কাজের আশায় তাদের প্রলোভনে তিনি মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর কাছে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। এছাড়া পাসপোর্ট তৈরির জন্য পাঁচ হাজার টাকা, ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র দেন। এরপর তাকে মিন্টু একটি ভিসা দেখান।
তিনি বলেন, দুই বছরের জন্য তার ভিসা হয়েছে। যার নং-৩৫৯২৮৫/৭৪। তাকে ভিসার ফটোকপি দেন। এরপর তাকে ওমানে পাঠানো হয়। ওমানের পৌছানের পর তাকে চাকরি দেননি। উল্টো বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। বাড়ি থেকে টাকা না আনায় তাকে যে হোটেলে রাখা হয়েছিলো সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। মিন্টুর লোকজন তার কাছ থেকে ভিসা, পাসপোর্টসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় ও তার সাথে খারাপ আচরণ করে। এ অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান। তারপর পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর বাড়িতে গেলে তার সব টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো টাকা দেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এই সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারীরা আরো মানুষের এভাবে ক্ষতি করেছেন। সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ও কচুয়া গ্রামের লিটনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে তারা প্রতারণা করেন। কারো টাকা ফেরত দেননি। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই চক্রের বিচারের দাবি করেন ও ক্ষতি পূরণ হিসেবে টাকা ফেরত চান।
খুলনা গেজেট/ এস আই