যশোরের অভয়নগরের বাগদাহ গ্রামের ইমরান মোল্লার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে স্ত্রীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সোমবার মৃত ইমরানের পিতা হালিম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন, মৃতের স্ত্রী অভয়নগরের বাহিরঘাট গ্রামের সালমা বেগম, তার বাবা ইনামুল বিশ্বাস ও মা সেলিনা বেগম।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ইমরান মোল্লা আট বছর আগে পারিবারিকভাবে সালমা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সালমা প্রায় তার স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে মা-বাবাকে দিতেন। ইমরান টাকা দিতে অস্বীকার করায় সালমা তার ছেলেকে রেখে পিতার বাড়ি চলে যান।
২০২১ সালের ২২ মে সালমা তার স্বামী ইমরান মোল্লাকে তালাক দেন। কিছুদিন যেতে না যেতে সালমা মোবাইল ফোনে ইমরানের সাথে যোগাযোগ করে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন। ওইসময় সালমার মা-বাবা তার নামে ১০ শতক জমি অথবা দু’লাখ টাকা দিতে বলেন। ইমরান দ্বিতীয় দফায় সালমাকে বিয়ে করে নওয়াপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তিনি গরু বিক্রি করে তার স্ত্রী সালমাকে ৬০ হাজার টাকা দেন। সালমা এ টাকা নিয়ে তার পিতার বাড়ি গিয়ে ইমরানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সালমা তার স্বামীকে ফোন করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে বলেন। ইমরান তার ছেলেকে সাথে নিয়ে সালমাকে আনতে যান। সালমা টাকা নিয়ে ইমরানের সাথে বাড়ি আসতে রাজি হননি।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামিরা ইমরানকে কীটনাশকের বোতল হাতে দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলে গালিগালাজ করেন। ইমরান তাদের সামনে কীটনাশক পান করে ছেলেকে সাথে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তার পিতা।