যশোরের মণিরামপুর থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের একটি মামলায় কথিত ১২ জন চরমপন্থির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজেশ কুমার দাশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামের ইসহাক গোলদারের ছেলে ইকরামুল গোলদার জুয়েল, সুভাষ মন্ডলের ছেলে শুভংকর মন্ডল, দিঘলিয়ার বিষ্ণুপদ মন্ডলের ছেলে বিজন চন্দ্র মন্ডল ওরফে বিনোদ, যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রামের মৃত নিতাই চন্দ্রের ছেলে প্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে বুলেট, ডহর মশিহাটি গ্রামের অখিল বিশ্বাসের ছেলে অমিতাভ বিশ্বাস, আন্দা গ্রামের গনেশ মল্লিকের ছেলে দীপংকর, বারান্দী পশ্চিম গ্রামের মোহন্ত দাসের ছেলে অনুপম দাস, মণিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত, পাঁচকাঠিয়া গ্রামের নির্মল পাড়ের ছেলে ছোট দীপংকর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা মুন্সীগঞ্জের শিবপদ মন্ডলের ছেলে বর্তমানে চুকনগরের রিফাদ অটোরাইস মিল মালিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া প্রশান্ত মন্ডল, পটুয়াখালীর পুরনো বাজার এলাকার মৃত নারায়ণ সাহার ছেলে কিরণ ওরফে মাহমুদুর রহমান ও বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা রোডের নুরু শেখের ছেলে হাসান শেখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি রাতে অভয়নগর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামের সুন্দলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার উত্তম সরকার চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ডিবি পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ১৫ জানুয়ারি সকালে মণিরামপুর উপজেলার সুজাতপুরে চরমপন্থি পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্তের বাড়িতে অভিযান চালায়।
সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান, নয় রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড গুলির খোসা, একটি ককটেল, ১০ গ্রাম গান পাউডার, একটি এয়ারগান, দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ১১ জন এবং তদন্তে প্রকাশিত একজনসহ মোট ১২ জনকে অভিযুক্ত করে সোমবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজেশ কুমার দাশ।
খুলনা গেজেট/এসজেড