পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন পরিচালিত অনলাইন পশুহাটে গত এক সপ্তাহে ৯শ’ ৬১টি গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছে। আটটি উপজেলা থেকে তিন হাজার দুইশ’ তিনটি গরু ছাগল অনলাইন হাটে বিক্রির জন্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে। নতুন এ উদ্যোগে মানুষ শতভাগ যুক্ত হতে না পারলেও যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন জানান, এ বছর জেলায় ৭১ হাজার সাতশ’ ১০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৯৬ হাজার ৩৭টি। সোমবারের তথ্যানুযায়ী, জেলা প্রশাসন পরিচালিত অনলাইন পশু হাটে ৩২ হাজারের মতো গরু-ছাগলের তথ্য আপলোড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯১টি ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পশুহাটে গরু-ছাগল বিক্রির জন্যে সুযোগ দেয়া হয়। তারই ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সদর উপজেলায় দুইশ’ ৪৯টি গরুর তথ্য আপলোড হয়। এরমধ্যে বিক্রি হয়েছে একশ’ ৪১টি, ছাগলের তথ্য আপলোড হয় ৮৮টি, বিক্রি হয়েছে ৪১টি। ঝিকরগাছায় দুইশ’ একটি গরুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩৫টি, ৩৮টি ছাগলের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১০টি, মণিরামপুরে ছয়শ’ ৯৮টি গরুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে একশ’৩০টি, একশ’৮০টি ছাগলের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২০টি, শার্শায় ৫৭টি গরুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১০টি এবং সাতটি ছাগলের একটিও বিক্রি হয়নি। কেশবপুরে পাঁচশ’ ৫৭টি গরুর মধ্যে একশ’ ৪২টি বিক্রি হয়েছে, তিনশ’ ৪৮টি ছাগলের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৯৩টি, অভয়নগরে একশ’ ছয়টি গরুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৫টি, ১৭টি ছাগলের মধ্যে বিক্রি হয়েছে পাঁচটি, বাঘারপাড়ায় দুইশ’২২টি গরুর মধ্যে ৩৫ বিক্রি হয়েছে, ২৭টি ছাগলের মধ্যে বিক্রি হয়েছে সাতটি, চৌগাছায় পাঁচশ’৫৬টি গরুর মধ্যে দুইশ’৪৭টি ও ৫২টি ছাগলের মধ্যে ৩০টি ছাগল বিক্রি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি