যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধিনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯২ শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবারের জিপিএ-৫ প্রাপ্তি সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৪৬১ জন।
শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসির ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৭৫ জন মেয়ে। আর ১৩ হাজার ৬১৭ জন ছেলে পেয়েছে জিপিএ-৫। পাসের হারেও এগিয়ে মেয়েরা।
এদিকে, সোমবার দুপুর দেড়টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের পর প্রেসক্লাব যশোরে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে ব্রিফিং করেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র। তিনি বলেন, এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য নানা অপশন থাকায় পাসের হার বেড়েছে। পরীক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী, উপ কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশ ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) ফজলুর রহমান।
অপরদিকে, সকাল থেকে ফল প্রত্যাশীরা তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১ টার পর থেকেই অনলাইন এবং মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জেনে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। যশোর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, এমএসটিপি গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে ও পুলিশ লাইন স্কুলে বাজনার তালে তালে আনন্দ, নাচ ও হৈ-হুল্লোড়ের পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করে ভালো ফলাফর অর্জন করা শিক্ষার্থী ও স্ক লের শিক্ষকরা। কাঙ্খিত ফলাফলে খুশি শিক্ষার্থীরা। সন্তানের সাফল্যে আনন্দ অশ্রু ঝরেছে অনেক অভিভাবকের। এর উল্টো চিত্রও দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কাঙ্খিত ফল না পেয়ে অনেক পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে।