যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক গাজী হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে যৌতুক অভিযোগে মামলা হয়েছে। তিনি খুলনা ডুমুরিয়া থানার শাহাপুর গ্রামের গাজী নুরুল ইসলামের ছেলে। মামলাটি করেছেন তার স্ত্রী যশোর শহরের খড়কি কবরস্থান এলাকার আবু সিদ্দিকীর মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা আসমা খাতুন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন ইস্যু করে আগামি ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই হুমায়ূন কবীর বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন। আসমা খাতুনের পিতা ২০১৬ সালে তার নামে খড়কি এলাকায় একটি জমি কিনে দেন। এরপর ওই জমিতে তার বাবা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পিতা ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করেন। এসময় হুমায়ূন বাদীকে বাড়ি তৈরির জন্য তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন। এরপর গত বছর থেকে হুমায়ূন ওই জমিসহ বাড়ি যৌতুক হিসেবে দাবি করতে থাকেন। ওই জমি তার নামে লিখে না দিলে নানা ধরণের হুমকি দিতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর মীমাংশার জন্য হুমায়ূনকে বাদীর পিতা ডাকলে তিনি জানান, জমি লিখে না দিলে আর সংসার করবেন না। অন্যথায় ফের বিয়ে করবেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাদী গত ২৫ অক্টোবর আদালতের আশ্রয় নেয়।
এ বিষয়ে গাজী হুমায়ূন কবীর বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর তার সাথে স্ত্রীর কোন দেখা সাক্ষাত নেই। তার ১১ বছরের ছেলে রয়েছে, তার সাথেও দেখা করতে দেয় না স্ত্রী আসমা। বাড়ি করার নামে তার মোটা টাকা আত্মসাত করেছে স্ত্রী আসমা। এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়েছে। থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। তার সম্মানহানি ও আত্মসাত করা মোটা অংকের টাকা ফেরত না দেয়ার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেছেন আসমা।
খুলনা গেজেট / এমএম