যশোর শহরের প্রানকেন্দ্র দড়াটানার সাকো স্নাক্স এন্ড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ভয়াভয় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে প্রতিষ্ঠানে সব মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টায়। খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে আড়াই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তত সময় পাশের সিদ্দিক বেকারীরও কিছুটা ক্ষতি হয়। তবে, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমৈ এখনো জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওইরাতে তারা হঠাৎ সাকো স্নাক্স এন্ড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ভেতর থেকে প্রচন্ড ধোঁয়া দেখতে পান। তাৎক্ষনিক তারা ৯৯৯ এ কল করে। পরে ফায়ারসার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি আমিন ইসলাম জানান, তিনি স্নাক্সের দুইতলার মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় মেঝে থেকে প্রচন্ড তাপ অনুভাব করেন। এছাড়া পোড়া গন্ধ পান। পরে জানতে পারেন নিচের তলায় আগুন লেগেছে। বাধ্য হয়ে তিনি দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে নামেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্বাস উদ্দীন জানান, তিনি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে যান । কিছু সময় পর তিনি আগুন ধরার খবর পান। পরে তিনি এসে দেখেন দোকানের সব মালামাল পুড়ছে। আগুন নেভানোর আগেই তার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একতলায় পাঁচটা ফ্রিজ, জেনারেটর, ওভেনসহ বিভিন্ন দামি পন্য ছিলো। এছাড়া দুই তলাতে এসিসহ বিভিন্ন পন্য ছিলো। কিন্তু তার কিছুই ভালো নেই। তিনি অনুমান করেন, ২০/২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার।
এ বিষয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস যশোরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক বলেন, তারা এসে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ -১২ টা গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার করেন। এতে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্রপাত ও কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছেনা বলে জানান আজিজুল হক।
এদিকে, খবর শুনে আশপাশ এলাকার লোকজন দড়াটানায় জড় হন। পুলিশের একাধিক টিম আসে ঘটনাস্থলে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার আ ফ ম মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে পুলিশ ও স্থানীয়রা অংশ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খুলনা গেজেট/ টি আই