যশোরের বাগআঁচড়া বাজার থেকে অপহৃত ২৭ দিন বয়সী শিশু তাসিনকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের জোড়াপুল সংলগ্ন লুৎফর গাজীর বাড়ি থেকে শার্শা থানা পুলিশ ও পিবিআই শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশু তাসিন (২৭দিন) যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া গ্রামের বাছের গাজীর ছেলে লুৎফর গাজী (লুতু) (৫৫) ও তার ছেলে মিলন গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুন (২৩)।
জানা গেছে, ১৫-২০ দিন আগে অজ্ঞাত এক নারী এনজিও কর্মী সেজে যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুলদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর গর্ভবতী কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। কথা মতো বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আশরাফুলদের বাড়িতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দিবে বলে ওই নারী তাসিনের মা ও দাদাকে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে নাস্তা করার জন্য তারা বাগআঁচড়া বাজারের রিফাত হোটেলে ঢোকে। এসময় অজ্ঞাত ওই নারী তাসিনের মা ও দাদাকে নাস্তা করতে বসিয়ে তাসিনকে নিজের কাছে নিয়ে কৌশলে হোটেল থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর নাস্তা খেয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্তানকে না পেয়ে তারা খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু শিশু তাসিনসহ ওই নারীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হলে ২১ জানুয়ারি থেকে শিশু তাসিমকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।
এক পর্যায়ে শার্শা থানা পুলিশ ও পিবিআই এর যৌথ অভিযানে শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের জোড়াপুল সংলগ্ন লুৎফর গাজীর বাড়ি থেকে শিশু তাসিনকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে গ্রেপ্তার করা হয় লুৎফর গাজী ও তার পুত্রবধূ সালমা খাতুনকে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম জানান, শিশুটি উদ্ধারের পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের পূর্বক পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/কেএম