যশোরে সরকারি চাকরি দেয়ার নামে প্রায় ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মাগুরার শালিখা উপজেলার বামনখালি গ্রামের ইন্দ্রজিৎ কর বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযেগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মাগুরা শালিখার বামখালি গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃষ্ণ সরকার, ঝিনাইদহ মহেশপুরের বেগমপুর গ্রামের সিদাম হাওলাদারের ছেলে পাঁচু গোপাল, যশোর মণিরামপুরের রামপুর গ্রামের বিজয় বিশ্বাসের ছেলে নারান চন্দ্র বিশ্বাস ও টাংগাইল নাগপুরের নাংগীনাবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে বায়োজিদ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি কৃষ্ণ সরকার ২০২০ সালের ২০, ২২ ও ২৭ জুন তিনটি পত্রিকা এনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানান ইন্দ্রজিত করকে। তার আত্বীয় এই অধিদফতরে চাকরি করে, তার মাধ্যমে এ বিজ্ঞপ্তিতে লোক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানায়। কৃষ্ণ সরকারের কথায় বিশ্বাস করে তার আত্মীয় যশোর চৌগাছার মাশিলা গ্রামের সৃষ্টি হালদারের ছেলে সুজন কুমার, মাগুরা শালিখার দরিশলই গ্রামের বিশ্বজিৎ দাসের ছেলে নয়ন দাস ও যশোর শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে পার্থ বিশ্বাসকে চাকরির জন্য যোগাযোগ করে দেন।
আসামিরা সুজনকে অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের মার্কম্যান, নয়ন দাসকে ট্রাফিক সুপারভাইজার ও পার্থ বিশ্বাসকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতের অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেন। চাকরির জন্য তিনজনের কাছে ৪২ লাখ টাকা দাবি করে আরেক আসামি পাচু গোপাল অধিদফতরের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে সুজন কুমারের বাড়িতে এসে মৌখিকভাবে যুক্তিবদ্ধ করে যান। এরপর তাদের চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের জুন মাস থেকে বাংক ও নগদে বিভিন্ন সময় ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর আসামিরা তাদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। টাকা ফেরত চাইলে আজ না কাল বলে ঘোরাতে থাকে। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ আসামি পাচু গোপালের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে একটি চুক্তিনামা করা হলে আসামি পাঁচু গোপাল স্বাক্ষর না করে পালিয়ে যান। ওই বছরের ৫ অক্টোবর আসামিদের কাছে টাকা চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি