অর্ধ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ গোপন করেছেন। ৪৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন। অভিযুক্ত শফিউল আলমের বাড়ি অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে শফিউল আলম যবিপ্রবিতে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। যার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২০২০ সালের ১০ জুন তার সম্পদ বিবরণী প্রদান করতে নোটিশ দেয় দুদক। ২০২০ সালের ১০ জুন তিনি সম্পদের বিবরণী দুদক যশোর কার্যালয়ে দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করেন, পরিবার থেকে তিনি ৭.২০ শতক জমি পেয়েছেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর তিনি উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যবিপ্রবিতে যোগদান করেন। বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। তার ও স্ত্রীর নামে বর্তমানে ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার ও তার স্ত্রীর নামে এক কোটি ১৫ লাখ এক হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ তিনি দুদকের কাছে ৪৭ লাখ ২২ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদ গোপন করেন। এছাড়া ৩৪ লাখ ২ হাজার ৮৯০ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দখলে রাখেন। অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রমাণ পাওয়ায় দুদক এ মামলা করেন।
দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, গত ২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ ও খুলনা অফিসের এক স্মারকে অনুমতি পেয়ে সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মামলাটি করেছেন।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম