খুলনার মশিয়ালীতে ত্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও আরেক আসামী রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকার ১৮ তলা একটি ভবন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, গত ১৬ জুলাই নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় তিন জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শেখ জাকারিয়া আত্মগোপন করে। অনেকদিন চেষ্টার পর জাকারিয়াকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাকারিয়া ও অন্য দুই আসামিকে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদেরকে হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারা কারা জড়িত ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি জানান, এই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ জন আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর ইস্টার্ণগেটের মশিয়ালী এলাকায় শেখ জাকারিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই গ্রামের মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে নিহত মোঃ সাইফুল ইসলামের পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ে (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেন।
খুলনা গেজেট / এমএম