সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে যারা ঘুরতে গিয়েছে তারা হয়তো বানর সরদার ভোলাকে দেখে থাকবেন। বনে উঠতেই প্রথম দেখাটা হয় তার সাথে, বিশাল একটি গ্রুপ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে অঙ্গি ভঙ্গি দিয়ে বিনোদন দিয়ে থাকে পর্যটকদের।
সাহসী, শক্তিশালী, সুঠাম দেহের বানর ভোলা প্রায় ৩০-৪০ টি বানরের সরদার। সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের হাতে খাবার দেখলে সামনে এসে পথ আগলে ধরে দলের অন্য সদস্যদের জন্য খাবার ছিনিয়ে নিতো ভোলা। এমন কি দলের সকলের দেকভাল ও এক তরফা নেতৃত্ব দিতো ভোলা, এত কিছুর পরেও এখন সে নেতৃত্ব ও রাজত্ব হারা। দলের মেয়ে সদস্যরা তাকে এখন আর সহ্য করতে পারছে না। দল থেকে মেরে বের করে দিয়েছে। রাজত্ব হারিয়ে বনের ভিতরে একাই অন্য সব সাধারণ বানরের মত জীবন কাটাচ্ছেন এক সময়ে দুর্দন্ত দাপটে থাকা বানর সরদার ভোলা। এমনই মন্তব্য করেছেন করমজলের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির।
তিনি বলেন- ভোলার সাহসীকতা বয়সের কাছে হার মেনেছে। দাঁত পড়ে গেছে। মেয়ে বানরগুলি এখন আর তাকে সহ্য-ই করতেই পারছে না। তিন মাস আগে একবার এখানকার পরিস্থিতি দেখার জন্য এসে ছিল সে, কিন্তু মেয়ে সদস্যরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে, পরে দলের যুবক বানরগুলি তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়েযায় । এরপর ভোলা অভিমান করে আর আসে নি। ভোলার সহসীকতা সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মুগ্ধ করতো বলে জানান তিনি।
করোনা মহামারির কারণে বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর গত (১সেপ্টেম্বর ) থেকে আবারও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে সুন্দরবন।
খুলনা গেজেট/এএ