রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও মো. ইলিয়াস।
রোববার বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও মো. ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (৩৩) ও শওকত উল্লাহকে (২৩) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিমকে (৩৩) ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে। শনিবার ভোরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন। ওই দিন বিকেলে উখিয়া থানা পুলিশ শওকত উল্লাহ (২৩) নামে আরেকজনকে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এপিবিএন চারজন এবং উখিয়া থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম