যশোরে মানবপাচার দমন আইনের মামলার আত্মসমর্পণকারী শারমিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার(২৬ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দয়ারা জজ) গেলাম কবির আসামির জামিন আবেদনের শুনানী শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামি শারমিন আক্তার যশোর সদরের বাগডাঙ্গা গ্রামের হযরত আলী গাজীর মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ যশোর সদরের মানিকদিহি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মামুন পারিবারিকভাবে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। নানা কারণে একই বছরের ২ জুলাই মামুন নিজে শারমিনকে তালাক দেন। এরপর থেকে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে শারমিন আক্তার। একের পর এক মামলা দিতে থাকেন তিনি। পঞ্চম বারের মত ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মামুন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবপাচার দমন আইনে আদালতে মামলা করেন শারমিন। মামলাটি প্রথমে প্রবেশন কর্মকর্তা তদন্ত করে শারমিন আক্তারের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আইনি জটিলতায় ওই প্রতিবেদন বাতিল করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেয়। এ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ প্রতিবেদনের উপর আদালতে নারাজি আবেদন করে মামলার বাদী শারমিন আক্তার। শুনানী শেষ বিচারক নারাজি আবেদন খারিজ করে মামলাটি নথিজাতের আদেশ দেন।
এরপর শারমিন আক্তারের সাবেক শ্বশুর আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মিথ্যা মানবপাচার মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন।
এদিন বিচারক অভিযোগের শুনানী শেষে মানবপাচার দমন আইনে ৫(১) ধারায় আসামি শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
শারমিন আক্তার আদালতের এ আদেশ জানতে পেরে হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এ জমিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার শারমিন আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
বিচারক আসামির জামিন আবেদনের শুনানী শেষে না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।