মা ঝর্ণা রায়ের মৃত্যুতে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। একই সঙ্গে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন। মায়ের সঙ্গে কাটানো নানা সুন্দর ও খুনসুটির কথা মনে পড়ছে এ অভিনেত্রীর। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এমনটাই জানান পূজা চেরি। একটি অ্যাম্বুলেন্সের ছবি পোস্ট করে সেখানে ক্যাপশনে এ নায়িকা লিখেন, ‘এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি? এইটা তো কথা ছিল না। তুমি না বলছিলা, আমার পাশে সবসময় থাকবা। আমার এখন কি হবে? আমি কাকে আমার সব কথা বলব মামুনি? কত কথা জমা হয়ে আছে, ভেবেছিলাম তুমি সুস্থ হলে সব কথা গড়গড় করে বলব। কিন্তু এইটা কি হলো?’
‘তুমি তোমার এই মেয়ের কথা চিন্তা করলে না? বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করব? বলো তুমি? মা, মাগো পারলে আমাকে মাফ করে দিও মা। একমাত্র তুমি ছিলে, যার সঙ্গে হাসতাম, রাগ হলে চিল্লাতাম, আবার অন্যের রাগও তোমার ওপর ঝাড়তাম। আহ, তখন কি যে শান্তি লাগতো। কিন্তু এখন! মামুনি বলারও কেউ নাই।’
নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দিচ্ছেন উল্লেখ করে এ নায়িকা আরও লিখেছেন, ‘নিজেকে এখন সান্ত্বনা দিচ্ছি, সবাইকে চলে যেতে হয়। চিন্তা করো না মামুনি, তোমার কাছে একদিন না একদিন আমিও আসব। তোমার পিছু তোমার এই মেয়ে ছাড়বে না, বলে দিলাম। ভালো থেকো মা আমার।’
এর আগে এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর নিজ বাসায় মৃত্যু হয় ঝর্ণা রায়ের। এ ব্যাপারে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, পূজার মা ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন। ডায়াবেটিসসহ দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এ অবস্থায় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হলে তাকে বাসার পাশে মিরপুর ডেল্টা কেয়ারে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে আইসিইউতে নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সাতদিনের মতো আইসিইউতে থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে চার-পাঁচদিন কেবিনে রাখা হয়। তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর তিন-চার আগে বাসায় ফেরেন ঝর্ণা রায়। এ অবস্থায় আজ বেলা ১১টায় হঠাৎ করেই সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এএজে