যশোরে মামীর সাথে পরকিয়া সম্পর্কের জেরে মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের একরামুলকে হত্যা করা হয় বলে আটক হেলাল উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। নিহত একরামুলের মামা কামরুল ও আমিনুর রহমান এ হত্যার পরিকল্পনা করে। লাশটি গুম করতে হেলাল সহযোগিতা করেছিল।
যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল বৃহস্পতিবার আসামি হেলালের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটক হেলাল উদ্দিন একই উপজেলার ষোলখাদা গ্রামের আবু কালাম দফাদারের ছেলে।
আদালতে হেলাল উদ্দিন জানায়, মামা কামরুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে একরামুলের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। কামরুল এ নিয়ে তাকে একাধিকবার নিষেধ করলেও বিষয়টি সে কর্ণপাত করেনি।
চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে একরামুলকে হত্যার বিষয়টি মোবাইল করে হেলালকে জানায় তার মামা আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম। এরপর তারা রাতেই একরামুলকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশটি বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে হেলালের গ্রামে নিয়ে যায়। ওইরাতেই তারা তিনজন মদনপুর শৈলীর মাঠের একটি পুকুর পাড়ে গর্ত করে একরামুলের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, একরামুল চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মণিরামপুর থানায় জিডি করা হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৩০ মার্চ কামরুল ও তার ভাই আমিনুর রহমানকে আটক করে। আটকের পর তারা দুই ভাই একরামুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে একরামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে একরামুলেল চাচা আসাদুজ্জামান আটক দু’জনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম আটক দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপরে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হেলালকে আটক ও রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। হেলাল নিহত একরামুলের লাশ গুমের ব্যাপারে দুই মামাকে সহযোগিতা করেছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই