যশোর সদরের মাদরাসার এক ছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে আদালতের আদেশে ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রেকর্ড হওয়া এ মামলার বাদী ওই ছাত্রীর পিতা।
আসামিরা হলো, যশোর সদরের ভগবতীতলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে কাশেম সরদার, বসুন্দিয়া আফরাঘাট পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ইসমাইল, নড়াইল সদরের বাহিরগ্রামের মৃত নওয়াব আলী খন্দকারের ছেলে হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও কাজদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে হাবিবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে আসামি হাবিবুর রহমান বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতো। বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর পরিবার হাবিবুর রহমানের পরিবারকে জানিয়ে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসামি হাবিবুর ও তার পিতা ইসমাইল ওই ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসলে পরিবারের লোকজন সে কোথায় ছিল তার কাছে জানতে চায়।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী স্বীকার করে যে, ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে হাবিবুরের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং আসামি রবিউল ইসলামকে দিয়ে বিয়ে পড়ায়। এরপর থেকে হাবিবুরের কথামত বাড়িতে বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে আসামি হাবিবুর রহমানের সাথে চলে যেতাম। হাবিবুর অপ্রাপ্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ইসমাইলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় অপ্রাপ্ত ছাত্রীকে বিয়ে ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। আদালতের বিচারক কোতয়ালি থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশে থানায় গতকাল অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে।
খুলনো গেজেট/কেডি