বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়ছে ‘বার্বি’ সংশ্লিষ্ট সব পোস্ট। এই ট্রেন্ড কতদিন চলবে তা বলা মুশকিল হলেও আপাতত এ নিয়ে যেন সব মাধ্যমে আলোচনা চলছে। সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের সিনেমা ‘বার্বি’। এ কারণে আধুনিক প্রজন্মের তরুণ-তরুণীর পাশাপাশি সেলিব্রেটিরাও মেতে উঠেছে এই ‘বার্বি’ নিয়ে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া বার্বির গোলাপি রঙে ছেয়ে গেছে। এ নিয়ে অন্যসবার মতো মেতে উঠেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী।
কয়েকদিন আগে ফেসবুকে মা প্রয়াত অভিনেত্রী দিতির সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন মেয়ে লামিয়া। ছবিতে মা-মেয়েকে গোলাপি রঙের পোশাকে দেখা গেছে। পরম আদরের সঙ্গে অভিনেত্রী মাকে জড়িয়ে ধরে হাস্যোজ্জ্বলভাবে আছেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমার মা ছিলেন সত্যিকারের বার্বি।’
এছাড়া সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মা দিতি চৌধুরির ফ্যাশন ও স্টাইল নিয়ে কথা বলেন মেয়ে লামিয়া। তিনি বলেন, সেই সময় ইন্টারনেটের যুগ ছিল না। এ জন্য কেউ ছবিগুলো দেখতে পেত না। কেবল সিনেমা হলেই দেখা যেত। এখন আমি চিন্তা করি. এত আগে কীভাবে আম্মুর মাথায় এই কম্বিনেশনের ধারণা আসতো। এত সুন্দর আউটফিট, চুলের স্টাইল—সব ম্যাচ করে পরতেন।
তিনি আরও জানান, চিত্রনায়িকা দিতি নিজেই তার সব রূপসজ্জা, চুলের স্টাইল করতেন। সৃজনশীল কাজে যেমন যত্নের ছাপ থাকতো, তেমনি সেই সময়ে তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা সৃজনশীলতার খোঁজ পেতেন দিতির মাঝে।
তিনি বলেন, আম্মুকে ছোটবেলা থেকেই দেখতাম তিনি নিজেই মেকআপ, হেয়ারস্টাইল, কাপর ডিজাইন করতেন।
প্রসঙ্গত, লামিয়া চৌধুরী ১৯৯৮ সালে বাবা সোহেল চৌধুরী এবং ২০১৬ সালে মা দিতি চৌধুরীকে হারান। তিনি কানাডায় পড়ালেখা করছেন। টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরে নির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর ইচ্ছা রয়েছে তার। এর আগে ২০১৬ সালে মা দিতির মৃত্যুর পর তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেছিলেন লামিয়া।
খুলনা গেজেট/এসজেড