ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীর জোয়ারের পানিতে খুলনার উপকূল কয়রার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত। ২৬ মে ইয়াসের প্রভাবে নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দূর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। প্লাবিত হয় অসংখ্য গ্রাম। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো দিয়ে নদীতে জোয়ার আসলেই লোকালয়ে ঢুকছে পানি। শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে জোয়ারের পানিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। বাড়ি-ঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদে প্রবেশ করেছে নোনা পানি। হাটু পানিবন্দি মসজিদে জুমা’র নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।
শুক্রবার দুপুরে মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলারাইট পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে হাটু সমান পানিতে জুমা’র নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দোয়ায় নোনা পানি থেকে উপকূলের মানুষকে রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বায়েজিদ হোসেন বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে লোকালয়ে। রাস্তা উপচে ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। হাটু সমান পানির মধ্যে মানুষ বসবাস করছে। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার জুমা,র দিন নামাজ আদায়ে সেই পানি পেরিয়ে মসজিদে যায় মুসল্লিরা। কিছুই করার ছিল না মুসল্লিদের। কারণ জামে মসজিদ হওয়ায় সেখানে জুমা’র নামাজ আদায় করতে হবে। মসজিদের চতুর দিকে পানি ছিল। মসজিদটি কাঁচা। আজ প্রচুর পানি ছিল। যে কারণে হাটু সমান পানির মধ্যেই নামাজ আদায় করতে হয়েছে।
শিমলারাইট পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুজিবুর রহমান বলেন, আজকের জুমা’র নামাজ হয়েছে ১২ টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিন জামাত দেড়টায় হলেও মুসল্লিদের পরামর্শক্রমেই একটু আগেই জামাত আদায় করা হয়। কারণ যদি দেড়টায় জামাত পড়ানো হতো তাহলে পানি আরও বৃদ্ধি পেতো। আর মসজিদের সামনের রাস্তায় জামাত পড়বো সেই কায়দাও ছিল না। কারণ সেখানেও প্রায় ৯ ইঞ্চির মতো পানি ছিল। আর মসজিদটি জামে মসজিদ। জুমা’র জামাত পড়তেই হতো। যে কারণে একটু আগেভাগেই নামাজ আদায় করা হয়েছে। হাটু চুই চুই পানিতে দাড়িয়েই জামাত আদায় ও খুৎবা পড়া হয়েছে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাবলু বলেন, আজও ভেঙে যাওয়া বাঁধ থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। যে কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি