যশোরের মণিরামপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীসহ তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২টি নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় নৌকার এক কর্মীকে আটকসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
উপজেলার ১৪ নং দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে লীগের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মাযহারুল আনোয়ারের নেতৃত্বে তার দুটি নির্বাচনী অফিস ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে। এসময় কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে মারপিট করা হয়। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা বাজারে এবং সকাল ১০টার দিকে দুর্বাডাঙ্গা বাজারে তার মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। তিনি দাবি করেন নৌকার প্রার্থী স্থানীয়ভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তার সরাসরি নেতৃত্বে বহিরাগতরা ওই হামলা ভাংচুর চালিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্বাডাঙ্গা এলাকার নৌকার কর্মী তমিজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে আটকসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাযহারুল আনোয়ার দাবি করেন তার বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না অথবা কোন নেতৃত্ব দেননি। বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে তিনি দাবি করেন।
জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বিআরডিপি কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বলেন, নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও তা অনেকটা অসম্পূর্ণ।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের বিষয়ে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম