মণিরামপুরে ব্যবসায়িক দোকান ভাড়ার অগ্রিম টাকা লেনদেন ও ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা ও পাঁচটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মদনপুর কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহত ব্যাবসায়ীদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলার সালামতপুর গ্রামের ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী শামীম হোসেন, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রিপন হোসেন, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী চঞ্চল, আলমগীর ও রাব্বী হোসেন। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার আলম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উল্লেখিত পাঁচ ব্যবসায়ীর উপর হামলাসহ দোকান ভাংচুরের পাশাপাশি হামলাকারীরা তার ডাক্তারখানার মধ্যেও ভাংচুর চালায়।
ডাক্তার আলম হোসেন আরো জানান, মদনপুর কলেজ মোড়ে একটি মার্কেটে শামীম হোসেনের মাটির নিচে নির্মাণ করা আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর ভাড়া নিতে স্থানীয় রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবু আনসার আলী দুই লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন। পরে ওই ঘর ভাড়া নিবেননা মর্মে শামীম হোসেনের নিকট দেয়া অগ্রিম টাকা ফেরত চান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
হামলার শিকার ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী মোবাইলে বিভিন্ন স্থান থেকে তার লোকজন ডেকে এনে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা এবং ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, তিনি আট মাস পূর্বে ঘর ভাড়া নিতে শামীম হোসেনকে দুই লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছেন। উক্ত টাকা ফেরত চাইলে আজ না কাল দেয়া হবে বলে টালবাহানা করতে থাকে শামীম। ঘটনার সময় উক্ত টাকা পুনরায় ফেরত চাইলে তর্কে জড়িয়ে শামীম প্রথমে তাকে ধাক্কা দেয়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতা-কর্মীসহ তার পক্ষের লোকজন এসে সামান্য ভাংচুরের পাশাপাশি শামীমসহ কয়েকজনকে মারপিট করে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি