যশোরের মণিরামপুরে চাকুরী দেয়ার নামে টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিনামার পরেও কামরুজ্জামান নামে এক প্রার্থীর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা-বাটবিলা দাখিল মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক পদে চাকুরী না হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অত্র মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক পদে চাকুরী দিতে মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমান ও সুপার মোশারফ হোসেন কামরুজ্জামানের নিকট থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা গ্রহণপূর্বক তা স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা করেন। শুধু কামরুজ্জামানের নিকট থেকে নয়, একই পদে চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে একইভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার মোশারফ হোসেন দাবি করেন কামরুজ্জামান নামে কোন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নেয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেনা। অপরদিকে অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
জানতে চাইলে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ঘটনায় তদন্তের সূত্র ধরে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারকে তলব করা হয়েছে। কিন্তু সভাপতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তারা অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে পরবর্তীতে হাজির থাকতে সভাপতি ও সুপারকে নোটিশ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই