সাতক্ষীরায় মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের পাতানো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে শোকজ করেছে সংগঠনের আহবায়ক কমিটি। বুধবার (১১ মে) বিকালে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবনে মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনের আহবায়ক কমিটির মাসিক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আহবায়ক কমিটির ৪ সদস্যের মধ্যে ৩ জন উপস্থিত ছিলেন। পাতানো এই নির্বাচনে বিএনপি ও আ’লীগের হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ ঘটায় ক্ষমতাসীন আ’লীগের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে বিএনপি ও আ’লীগের হাইব্রিড নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলের সুযোগ কওে দেওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা ও কতিপয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আহবায়ক কমিটি কর্তৃক নির্বাচন কমিশনকে প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল বিশেষ নির্বাচনী সাধারণ সভায় মোঃ আশরাফুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ২৬ মে নির্বাচনের দিন ধার্য রয়েছে। গত ৯ মে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনের নির্বাচন কমিশনের জন্য নির্ধারিত রুমে মনোনয়নপত্র বিক্রির স্থান নির্ধারণ করা ছিল। ওই দিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মনোনয়ন বিক্রির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে মনোনয়নপত্র বিক্রি করার নির্ধারিত সময়ে এডহক কমিটির আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান পুলিশ দ্বারা বেষ্টিত ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে এসে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যকে দেখতে পাইনি। তিনি নিজ অফিস কক্ষে অবস্থানকালে খবর পান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী এসোসিয়েশন ভবনে প্রবেশকালে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হন। ওই সময়ে সংগঠনের আহবায়ক নিজ অফিস কক্ষ ত্যাগ করে ভবনের বাইরে এসে সহকর্মীকে এসোসিয়েশন ভবনে ঢুকানোর চেষ্টা করলে তিনিও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েন। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভবনের মূল গেটে অবস্থানকালে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যকে দেখা যাইনি। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বতা করতে ইচ্ছুক অনেকেই মনোনয়নপত্র কিনতে এসে পুলিশের বাঁধা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যকে না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনের নিচ তলায় বিকল্প কোনো দরজা নেই যে, সেই পথ দিয়ে ওই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোনো সদস্যরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারবে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এ ধরণের কার্যক্রম শ্রম আদালতের নির্দেশনার পরিপন্থী। যা আদালত অবমাননার সামিল। অগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আহবায়ক কমিটির মাসিক সভায় সংগঠনের আয় ও ব্যয় অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।