যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদীর ভেতর ইট, বালু, মাটি ও গাছ দিয়ে নির্মাণ করা আরো ২০টি অনুমোদনহীন অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এর আগে দুই দফা (১০ ও ১১ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে ২৯টি জেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিন দিনের অভিযানে মোট ৪৯টি জেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
নওয়াপাড়া নদী বন্দর অফিস সূত্র জানা যায়, অভিযানে বন্দর এলাকার চেঙ্গুটিয়া গ্রামে শেখ ব্রাদার্সের একটি, একই এলাকার ফারুকের একটি, নজরুলের একটি, বোরাকের একটি, লবণ ঘাটের একটি, রাজধানীর দুটি, বিসমিল্লাহর দুটি, মাহাবুব ব্রাদার্সের একটি, তরিক শেখের একটি, রহমাতুল্লাহর একটি, বিদ্যুতের একটি, মহাকাল গ্রামে দাসের একটি, দীপু স্টোনের চারটি, এআর সিমেন্টের একটি, নওয়াপাড়া ফেরিঘাট সংলগ্ন মাহাবুব ব্রাদার্সের একটি মোট ২০টি জেটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ১০ ও ১১ আগস্ট অভিযান চালিয়ে ২৯টি জেটি উচ্ছেদ করা হয়। তিন দিনের অভিযানে মোট ৪৯টি জেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক আশরাফ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা, নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ, নওয়াপাড়া নৌপুলিশের এসআই আসাদুজ্জামানসহ সাংবাদিক, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।
নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, নওয়াপাড়া নদী বন্দর এলাকায় অনুমোদনহীন অবৈধ ৬০টি জেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন দিনের অভিযানে ৪৯টি জেটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হবে। ভৈরব নদী ও নওয়াপাড়া নদী বন্দর রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, অভয়নগরে নওয়াপাড়া নদী বন্দর এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অনুমোদনহীন ৬০টি অবৈধ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ি ও ঘাট মালিক নদীর ভেতর ইট, বালু, মাটি ও গাছ ফেলে এসব জেটি নির্মাণ করেছেন। যে কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে নৌ-যান চলাচল। ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
খুলনা গেজেট/ টি আই