পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের সকল পরীক্ষায় প্রথম হয়েও স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে জটিলতায় চাকরি না পাওয়া মীম আক্তারের পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান মীমের বাবা রবিউল ইসলাম এবং কাগজপত্র জমা দেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমরা যেটা শুনেছি, তার স্থায়ী ঠিকানা নেই, এ কারণে সে চাকরি পাচ্ছে না। আমরা খবর নিয়ে দেখলাম তার ঘর নেই এবং জমি নেই। যাদের ঘর নেই এবং জমি নেই, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে যে আশ্রায়ন প্রকল্প আছে, সেখান থেকে তাদেরকে পুনর্বাসন করার সুযোগ আছে। আমরা ওই প্রকল্পের আওতায় তাদেরকে ঘর করে দিবো।’
এর আগে খুলনা জেলা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ফলাফলে মেধাক্রমে প্রথম হন মিম আকতার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা জটিলতায় পুলিশ প্রতিবেদন তার বিপক্ষে যায়। যার কারণে চাকরি থেকে বাদ পড়ে যান মিম। তবে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানিয়েছিলেন, মেডিকেলের সর্বশেষ পরীক্ষায় মিম আনফিট হয়েছিলেন এবং স্থায়ী ঠিকানার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছে।
মিমের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনায় আমরা ৩২ বছর বসবাস করছি। আমার স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। সোমবার সকালে ডিসি অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেখানে কিছু কাগজপত্র দিয়েছি। স্থায়ী বসবাসের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা তৃতীয় ফেজের ১ নম্বর সড়কের ভেতরে ডা. বাবর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন মিমরা। তার বাবা রবিউল ইসলামের বয়রা মেইন রোডে নিউ সততা বেডিং হাউজ নামে তার লেপ-তোষকের একটি দোকান রয়েছে। মা আছিয়া খাতুন গৃহিনী। মিমরা ৪ বোন।
মিম ২০১৯ সালে নগরীর পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাশ করেন মিম। খুলনা সরকারি মহিলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে।
খুলনা গেজেট/ টি আই