খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  দুর্গাপূজার ছুটি বৃহস্পতিবার একদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
  খুলনায় মাদক মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত
সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের

ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভালো নেই খুলনা নগরীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। লকডাউন আর বিধি-নিষেধের কারণে তাদের অবস্থা নাজুক। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। আবার অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার লোহার গেট মোড়ের চায়ের দোকানি নাসিম জানান, গত বছরের লকডাউনের সময় গচ্ছিত টাকা ভেঙ্গে খেয়েছেন। ধাপে ধাপে করোনা সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় লকডাউন শিথিল হয়। দিন ফিরছিল তার। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে আবারও বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। কোভিড সংক্রমণের প্রথম ধাপের লকডাউনে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। এবার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কঠোর বিধি-নিষেধে দোকান বন্ধ থাকলেও কোন সহায়তা পাননি তিনি।

এ এলাকায় শ্রমিকদের বসবাস বেশি। সারাদিন কর্মে ব্যস্ত সময় পার করে তারা। সন্ধ্যার পর তার দোকানে ভিড় জমাতে থাকে কর্মজীবীরা। কিন্তু সন্ধ্যার পর বিধি-নিষেধ জারি করায় চিত্র এখন ভিন্ন। সংসার চলবে কীভাবে, এ চিন্তায় সে অস্থির।

নাসিমের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। তারা দু’জনই স্কুলে পড়াশুনা করে। স্কুল বন্ধ থাকায় সন্তানদের টিফিনের খরচ দিতে হচ্ছে না, তবুও দু’বেলার খাবার দিতে কষ্ট হচ্ছে তার। একদিকে সংসার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে, অন্যদিকে মাস গেলে গুনতে হচ্ছে ঘর ভাড়া। গত দু’মাস ঘর ভাড়া দিতে না পারায় প্রায়শ শুনতে হচ্ছে ঘর মালিকের গালাগাল। এ অবস্থায় প্রতি সপ্তাহে সমিতির কিস্তি যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা তে পরিণত হয়েছে। গত বছর করোনার সময়ে তিনি স্থানীয় একটি সমিতি থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিস্তির টাকার ভয়ে পালিয়ে থাকতে হয় তাকে।

নগরীর কেসিসি সুপার মার্কেটের সিংড়া বিক্রেতা মোঃ কবির হোসেন শোনালেন একই ধরণের কথা। গেল বছর করোনার আগে প্রতিদিন সব খরচ-খরচা বাদ দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ’ শ টাকা ডানে ফেলতে পেরেছেন। প্রথম ঢেউয়ে কিছুটা রক্ষা পেলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এসে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। সকলে লেখাপড়া করে। বড় ছেলে কলেজের শিক্ষার্থী। টিউশনি করে নিজের খরচ বহন করত। করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সে এখন বেকার। চলছে বিধি-নিষেধ। দোকানপাট খুলতে পারছেন না। টাকা দিতে না পারায় দোকান ছেড়ে চলে গেছে কর্মচারী। ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। মাস গেলে বাড়িওয়ালার চাপ সহ্য করতে হয়। সপ্তাহ গেলে কিস্তির টাকার চিন্তা। টাকা দিতে না পারলে বাড়ি বসে থাকে। এসব চিন্তায় কোনমতে দিন পার করছেন তিনি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!