দাম বেশি হওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে। ফলে ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশ প্রায় বন্ধের পথে। অন্যদিকে সরবরাহ ভালো থাকায় দেশি পেঁয়াজের দামও নিম্নমুখী। ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পুনরায় ভারতীয় পেঁয়াজ খুলনায় আনছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খুলনার পেঁয়াজের পাইকারী আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রথম খুলনায় আসে ৫ জানুয়ারি। প্রথম দিনে আসা ৫/৬ টন পেঁয়াজ সোনাডাঙ্গাস্থ পাইকারি আড়তে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। তবে ক্রেতা না পাওয়ায় পরের দিনই ভারতীয় পেঁয়াজের দাম নেমে আসে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। ৩৮ টাকায় কেনা পেঁয়াজ সবশেষ ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়ে পেঁয়াজ আনা বন্ধ করে দেন আড়তদাররা। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় পেঁয়াজের দর পড়তে থাকে। ১০/১২ দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা।
এদিকে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ আমদানির শুরুর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১৪৬ গাড়িতে ৩ হাজার ৬৩৮ টন পেঁয়াজ দেশে আসে। বৃহস্পতিবার ২ গাড়িতে ৫০ টন পেঁয়াজ আনা হয়।
সোনাডাঙ্গাস্থ পাইকারি আড়তের সোনালী বাণিজ্য ভান্ডারের ম্যানেজার মোঃ তহিদুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ত পর্যন্ত আনতে খরচ হয়েছে প্রতি কেজি ৩৮ টাকা, আর সবশেষ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। তারপরেও ক্রেতাদের চাহিদা নাই। এজন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আপাতত আর আনছি না। দেশি পেঁয়াজ ভালোটি বিক্রি করছি ২৩ থেকে ২৫ টাকায়।
ভোমরা কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা নাই বললেই চলে। বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দিনে ২/৩ গাড়ি পেঁয়াজও ঢ়ুকছে না।
খুলনা গেজেট/ টি আই