খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চার উপদেষ্টার আশ্বাসে ভোর ৪টায় হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া, নেপথ্যে ৭ কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ভরা মৌসুম, তবুও ইলিশের সরবরাহ কম। বাজারে যে ইলিশ মিলছে, তার দামও চড়া। ফলে নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এবার ভরা মৌসুমে ইলিশের চড়া দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

এবার ইলিশের দাম বেশি হওয়ার নেপথ্যে সাত কারণের কথা বলছেন ভোক্তা, জেলে, ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা। ইলিশের আহরণ কম হওয়া, জ্বালানি ও শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি, ভারতে রপ্তানি, ইলিশ মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা, অবৈধপথে পাচার হওয়া এবং কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করছেন তারা।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারিভাবে মনিটরিং জোরদারের কথা উঠেছে। ব্যবসায়ীরা ইলিশ আহরণ কম হচ্ছে দাবি করলেও মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, দেশে এক যুগে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৯ শতাংশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে দুই হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে। শর্ত অনুযায়ী— অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুত, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রি বন্ধ থাকবে

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১১৮০ টাকা দরে। অথচ দেশের মানুষ সেই ইলিশ কিনছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে, এক কেজি সাইজের ইলিশ ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর পেছনে বড় ধরনের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে ইলিশ কিনতে আসা মো. ইমদাদুল হক বলেন, এখানে ইলিশ মাছের দাম প্রচুর। যেটা আমরা ভাবতেও পারিনি। এর আগেও আমরা কিনেছি, কিন্তু এবার ইলিশের দাম বাড়তি। যেটা আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এজন্য বড় সাইজের না কিনে ছোট ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সব জায়গায় বাড়তি দাম।

ভারতে রপ্তানির খবরে দাম বৃদ্ধির বিষয়টিকে ‘সিন্ডিকেটের চক্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন এ ক্রেতা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে তাতে ভারতে রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়ার কথা না। এটা কোনো সিন্ডিকেটের চক্রান্ত হতে পারে। এর আগে ভারতে অনেক বেশি ইলিশ গেছে। তারপরও দাম কম ছিল, কিন্তু ইদানীং দাম অনেক বেশি।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, নদ-নদীতে ইলিশের স্বল্পতা এবং ভারতে রপ্তানির ঘোষণা দেওয়ার পর দাম আরও বেড়েছে।

কোন সাইজের ইলিশের দাম কত

নগরীর খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি সাইজের ইলিশের কেজি ১৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা থেকে ২৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫৫০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ১৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিন পিস মিলিয়ে এক কেজি ইলিশের দাম ৯০০ টাকা, ছোট সাইজের (জাটকা) ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা আব্বাস খলিফা বলেন, নদীতে এবার ইলিশের সংখ্যা কম। চারদিকে মাছের সংখ্যা কম, যা দু-চারটি পাওয়া যাচ্ছে তার দাম বেশি। এ ছাড়া ভারত কিছু নিচ্ছে, এজন্য মাছের দাম একটু বেশি।

প্রতি কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১১৮০ টাকা দরে। অথচ দেশের মানুষ সেই ইলিশ কিনছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে, এক কেজি সাইজের ইলিশ ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর পেছনে বড় ধরনের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা

রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারের মদিনা ফিসের মালিক আবু মূসা বলেন, মূলত ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। যার কারণে দামটা একটু বেশি। মাছও তুলনামূলক কম। মাছ ধরা পড়ছে ঠিক আছে, কিন্তু মাছের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে এক কেজি ২০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২১০০ থেকে ২২০০ টাকায়। এক কেজির নিচে ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা, দুটি মাছে এক কেজি হবে এমন ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট পাঁচ থেকে ছয় পিস মিলিয়ে এক কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

খুলনা পাইকারি মৎস্য আড়তে কেজি সাইজের ইলিশের মণ ৮০ হাজার টাকা, ১২০০ গ্রামের ইলিশ ৮৫ হাজার টাকা মণ, এলসি সাইজ হিসেবে পরিচিত ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫ হাজার টাকা মণ, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৪৫ হাজার, জাটকা (চার থেকে পাঁচ পিসে এক কেজি) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকা মণ।

নগরীর ৫নং ঘাট এলাকায় অবস্থিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি মৎস্য বাজারের আড়তদার মো. আব্দুর রহমান বলেন, এবার মাছের সরবরাহ খুব কম। মাছ ধরাও পড়ছে কম। যে কারণে মাছের দাম বেশি। অন্য বছর আমাদের এক আড়তে যে পরিমাণ মাছ থাকত, এখন সব আড়ত মিলিয়েও সেই পরিমাণ মাছ নেই। এবার মাছের সরবরাহ খুব কম। অন্য বছর এক আড়তে যে পরিমাণ মাছ থাকত, এখন সব আড়ত মিলিয়েও সেই পরিমাণ মাছ নেই। 

তিনি বলেন, সরকার ইলিশ আহরণ বন্ধ ঘোষণার পর ভারতীয়রা ট্রলার নিয়ে আমাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে যায়। এটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। সাবেক সরকারের এমন একটা কৌশল ছিল। বন্ধের পরপরই অসংখ্য ভারতীয় ট্রলার আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ত এবং মাছ ধরে নিয়ে যেত। এতে আমাদের বিশাল মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হতো। দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়টি খেয়াল করছি।

মাছ ব্যবসায়ী মো. নূর হোসেন বলেন, দেশের মাছ আমাদের কপালে সয় না, সবই ভারতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সামান্য পরিমাণ মাছ পাচ্ছে।

সমুদ্র থেকে মাছ ধরে খুলনার ৫নং ঘাটে আসা জেলে মো. হেলাল উদ্দীন ব্যাপারী বলেন, ‘১৬ দিন সাগরে ছিলাম। যে মাছ পেয়েছি, তাতে খরচার টাকাও হবে না। ভারতীয় জেলেরা এসে সমস্যা তৈরি করে। তাদের ট্রলার অনেক বড়। দিনের বেলায় দূরে থাকলেও সন্ধ্যা বা রাতে গোপনে আমাদের সীমানায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। ভারতীয় জেলেদের আসা ঠেকাতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

‘আমরা তাদের কিছু করতে পারি না। সরকার যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের বাধা দেয় এবং ধরে নিয়ে আসে, তাহলে তারা ভয়ে আমাদের সীমানায় আসবে না।’

সমুদ্র থেকে মাছ নিয়ে আসা জেলে সজিব বলেন, আমাদের সীমানায় ভারতীয় ট্রলারও আসে। তাদের অনুমতি নেই, তবুও আসে। আমাদের ৬৫ দিন এবং ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে। তাদের আছে কি না জানি না। তারা তো সবসময় আসে। আমরা ৬৫ দিন বউ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়ি থাকি না খেয়ে, কিন্তু তারা (ভারতীয়) এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়।

ভারত ১০ ডলারে ইলিশ পেলেও দেশের মানুষ কিনছে ১৫-২০ ডলারে

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্লোবাল খুলনার প্রেসিডেন্ট শাহ মামুনুর রহমান তুহিন বলেন, সরকারি হিসাবে দেশে প্রতি বছরই ইলিশ আহরণ বাড়ছে। অথচ এবারের ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের দাম চড়া। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মানুষ চাহিদা মতো ইলিশ কিনে খেতে পারছে না। এর নেপথ্যে ইলিশ ফ্রোজেন করে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা। এ ছাড়া অবৈধপথে পাচার এবং ভারতে রপ্তানি তো আছে।

‘বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইলিশ মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে সেই মাছ পাচার কিংবা বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হবে। এর সঙ্গে ভারতে রপ্তানির খবরে আরও বেড়েছে দাম। রপ্তানির সংখ্যা তো আমরা জানতে পারছি, কিন্তু অবৈধপথে যে ইলিশ বিদেশে পাচার হচ্ছে সেটি জানা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ভারত ১০ ডলারে ইলিশ পেলেও দেশের মানুষ কিনছে ১৫ থেকে ২০ ডলারে। ভারত ১০ ডলারে পেলে দেশের মানুষ কেন পাবে না? সহনীয় পর্যায়ে মূল্য রাখতে সরকারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

৯ দিনে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেল ৪৫৯ টন ইলিশ

সরকারি ঘোষণায় দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশের মধ্যে বেনাপোল দিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত নয়দিনে ৪৫৯ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রোববার ছয় ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩ ট্রাকে ৪২ টন, সোমবার আট ট্রাকে ২৩ টন ৬০০ কেজি, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আট ট্রাকে ২৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

চার অর্থবছরে ইলিশের রপ্তানি আয় কত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় এক কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তখন প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০, ৬ ও ৮ ডলার দরে রপ্তানি হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে এক হাজার ২৩০ টন রপ্তানি করে আয় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রতি কেজির রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় এক কোটি ৩৮ লাখ ডলার

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৮০ লাখ ডলার। তখন প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার বা এক হাজার ৯৮ টাকা।

এক দশকে ইলিশের দাম বেড়েছে তিনগুণ

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাব। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ভরা মৌসুমে ২০১৪ সালে ৫০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের গড় দাম ছিল ৫০৫ টাকা। বর্তমান বাজারে সেটি কম-বেশি ১৪০০ টাকা। সুপারশপগুলোতেও এক কেজি সাইজের ইলিশের কেজি কম-বেশি দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারেও সাগর ও নদীর মাছভেদে ইলিশের কেজি ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে অবৈধপথে ইলিশের পাচার, ভারতে রপ্তানি এবং বিশাল সিন্ডিকেট দায়ী। এ ছাড়া রয়েছে সরকারের সঠিকভাবে বাজার মনিটরিংয়ের অভাব। ইলিশের মাফিয়া চক্র এ সিন্ডিকেট করেছে। মৌসুমে প্রচুর ইলিশ আহরণ হলেও তারা মজুত করে রাখছে। সেই ইলিশ সারা বছর তারা চড়া দামে বিক্রি করবে। অল্পস্বল্প ছোট কিছু ইলিশ বাজারে ছাড়লেও বৃহৎ অংশ তারা মজুত করেছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কঠোর বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে মনে করেন শেখ আশরাফ-উজ-জামান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, আগে যেখানে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ পাওয়া যেত, এখন সেখান থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে ইলিশ মিলছে। এখন গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে জেলেদের মাছ আহরণ করতে ব্যয় বেশি পড়ে যায়। যে কারণে ইলিশের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। তবে, সমন্বিতভাবে বাজার মনিটরিং করলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!