টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল অনেক। আশা ছিল টেস্টে হয়তো তেমন কিছু দেখা যাবে না।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তান দলের বোলারদের বোলিং তোপে দিশেহারা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ধুঁকতে ধুঁকতে লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ দল। প্রথম সেশন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ৬৯ রান। মুশফিকুর রহিম ৫ ও লিটন দাস ১১ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।
বলা হয়, সকালের সূর্য দেখে দিন কেমন যাবে বোঝা যায়। টসের আগে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা ইয়াসির আলী রাব্বির অভিষেক ক্যাপ মাথায় তোলার অংশটুকু বাদ দিলে সকালের শুরুটা একেবারেই বিবর্ণ হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার হাসান আলীর বলে কোন রান না করেই ফিরতে পারতেন ওপেনার সাইফ হাসান। তবে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে বল ধরা পড়ার আগে যে সাইফের ব্যাট টাচ করে গেছে সেটি বুঝতে পারেনি সফরকারীরা। এ যাত্রায় বেঁচে যান সাইফ। পরের বলে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন এই ওপেনার। তবে সুবিধা করতে পারেননি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির লাফিয়ে ওঠা বলে লাইন হারান সাইফ। যেটি জমা পরে আবিদ আলীর হাতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান আউট হন ১২ বলে ১৪ রান করে। সাইফের সমান ১৪ রান করে সাজঘরে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। হাসান আলীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ জানান, তবে লাভ হয়নি তাতে।
১৪ রানের গেঁড়ো কাটাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে ফাহিম আশরাফকে উইকেট দেন টেস্টে ‘অটো চয়েজ’ বনে যাওয়া শান্ত। পয়া ভেন্যু চট্টগ্রামে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। তবে এ যাত্রায় সতীর্থদের পথেই হাঁটলেন তিনি। ধীর-লয়ে ইনিংস শুরু করলেও সাজিদ খানকে উইকেট দেন ৬ রান করে।
বড় পার্টনারশিপ গড়তে না পারা বাংলাদেশ দল দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছোয়ার আগেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিক আর লিটন। প্রথম সেশনে দলকে আর বিপদে পড়তে না দিয়ে বাকি ১১ ওভার সামাল দেন। যেখানে ৬৯ রান তুলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেছে টাইগাররা।