অর্থাভাবে ছাড়পত্র পেয়েও মিনহাজুলকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে পারছেনা তার স্বজনরা। ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালের ৪ লাখ টাকার বিল মেটাতে না পারায় তারা সেখানেই আটকা পড়েছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। দশ বছরের ছোট্ট মিনহাজুলকে নিয়ে দেশে ফিরতে সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি সকলের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মিনহাজুল। স্থানীয় হরিদাশকাটির শেখ শফিকুল ইসলাম এর একমাত্র ছেলে সে। শৈশবে আর দশ জন সমবয়সীদের মত পড়া-শুনা ও খেলাধুলার মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠছিল সে। তবে সোনালী শৈশবে আকষ্মিক ছন্দপতন ঘটে তার। নিজ বাড়িতে দেওয়াল চাপায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে মিনহাজুল। বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষার একপর্যায়ে প্রোস্টেড গ্লান্ডে ব্যাথা শুরু হয় । বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে পরিবারের সর্বস্ব বিক্রি করে নেয়া হয় ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দফায় তার বিভিন্ন অপারেশনে চিকিৎসার খরচ মিটিয়েও এখনো বাকি প্রায় ৪ লাখ টাকা।
ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার বর্তমান পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে এখনো বিল বাকি ৪ লাখ টাকা। আর সে কারণে স্বজনদের সাথে বাড়ি ফিরতে পারছেনা মিনহাজুল।
মিনহাজুলের স্কুলের এক শিক্ষিকা মোছাঃ মিলি খাতুন বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খরচ যোগাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য শেখ আব্দুল গফুর জানান, মিনহাজুলের পরিবার অত্যন্ত অসহায়। তার উপর ছেলের চিকিৎসার যোগান দিতে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবারটি বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থান করছে। তিনিও শুনেছেন, বিল মেটাতে না পারায় ছাড়পত্র নিয়েও দেশে ফিরতে পারছেনা অসহায় ঐ পরিবারটি। তিনিও অসহায় মিনহাজুল পরিবারের সহয়োগীতায় সকলকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: নাছিমা বেগম (মিনহাজুলের মা) এর ব্যাবহৃত মোবাইল নং- ০১৭৩৫-২৭৬৫৯৯ (বিকাশ), ০১৯৩৭-৪৯৮৮৬৬(রকেট ও নগদ)।
খুলনা গেজেট/এসজেড