সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ীর ২৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর কাছে সে এই স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
মেহেদী হাসান মুন্না (২৪) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ভোমরার মেসার্স মা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমির হামজার কর্মচারী শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক থেকে ২৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে ভোমরায় যাচ্ছিল। শওকত আলী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং ওবায়দুল্লাহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তার পিছনে বসে ছিল।
একপর্যায়ে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা- ভোমরা সড়কের আলিপুর ঢালীপাড় এলাকায় পৌছালে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে শওকাতের মাথায় আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসয় ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মুন্নাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা। বাকি ৪ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার ব্যবসায়ী আমির হামজা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না ছাত্রদল সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জবানবন্দি প্রদানকালে আসামি মুন্না জানায়, সে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। সপ্তাহখানেক আগে তার স্ত্রীর সিজার হয়েছে। সাত দিন বয়সে তার একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমান সময়ে সে খুবই আর্থিক কষ্টে ভুগছিল। এসময় আরাফাত তাকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে একটি কাজের প্রস্তাব দেয়। কোন কিছু না বুঝেই সে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। একপর্যায় বৃহস্পতিবার বিকালে আরাফাত, এজাজ ও নয়নের সাথে সে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।
খুলনা গেজেট/ টিএ