খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

বেনাপোলে স্বর্ণ চুরি মামলায় আটক আরো এক কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি

যশোর প্রতিনিধি

যশোর বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরি মামলায় কাস্টমসের সাবেক সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ভোল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভোল্টের দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সময় তিনি সকল নিয়ম মেনে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। এরমধ্যে আটক শাহিবুর ও অপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ্বনাথ কুন্ডুর জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। বুধবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটক বিশ্বনাথ কুন্ডু খুলনা বাটিয়াঘাটার জয়পুর গ্রামের রনজিৎ কুমার কুন্ডুর ছেলে।

বিশ্বনাথ কুন্ডু জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। এ গোডাউনের বিভিন্ন ভোল্টে স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষিত ছিল। ভোল্টের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার সময় তিনি যাবতীয় কাজগপত্রের সাথে নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু মিল করে নিয়েছিলেন। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর যথাযথ নিয়মে পরবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্তের কাছে সবকিছু বুঝে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ঢাকায় বদলি হয়ে যান। পরবর্তীতে এ পদে শাহিবুর রহমান দায়িত্ব পালনকালে ভোল্টে চুরি হয়। এরপর তার সাথে কথা হয়েছে। এ চুরির সাথে শাহিবুরসহ আরও দুইজন জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের ভোল্টের তালা খুলে চোরেরা ১৯ কেজি ৩শ’১৮ দশমিক ৩ গ্রাম সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। যার মুল্য ১০ কোটি তেতাল্লিশ লাখ ১৭ হাজার ৩শ’৬২ টাকা। এই ভোল্টের চাবি শাহিবুলের কাছেই থাকতো। এছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে সোনাসহ মূল্যবান জিনিপত্র ছিল। সেগুলো অক্ষত ছিল।

বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর পুলিশ তাকে এ মামলায় আটক করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম গত ৬ ডিসেম্বর একদিন রিমান্ড শেষে শাহিবুরকে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বনাথ কুন্ডুকে ঢাকা থেকে আটক করে সিআইডি পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

খুলনা গেজেট/কেএম

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!