রেললাইনের ওপর ওঠে পড়েছিল এক শিশু। রেললাইন দিয়ে দ্রুতগিততে ছুটে আসছিল ট্রেন। এ দৃশ্য দেখে ফেলেন এক ব্যবসায়ী। ছেলেটির জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন তিনি। রেললাইনের ওপর ওঠে ছেলেটিকে রক্ষা করেন। কিন্তু নিজের জীবন আর রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান।
আজ শুক্রবার সকালে যশোর শহরের মুজিব সড়কের রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হাকিম (৫৫)। তিনি যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে। খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি মারা যান।
আবদুল হাকিমের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর ভাই আবদুল হাকিম একজন ব্যবসায়ী। যশোর শহরে তাঁর একটি ঘড়ির দোকান আছে। যশোরের হাঁটার সাথী নামে একটি সংগঠনের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি হাঁটতে বের হন। হাঁটা শেষে সকাল আটটার দিকে তিনি শহরের রেলেগেট পার হচ্ছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এ সময় হঠাৎ করে একটি শিশু রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে।
শিশুটিকে বাঁচাতে আবদুল হাকিম রেললাইনের ওপর উঠে পড়েন। শিশুটিকে টেনে রেললাইনের বাইরে নিয়ে আসতে পারলেও তিনি পা পিচলে পড়ে যান। এতে তাঁর মাথায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা লাগে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনেন। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহিনুর রহমান সোহাগ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবদুল হাকিমের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ফাঁড়ির উপপরিদর্শক(এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আবদুল হাকিম মারা গেছেন। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।