করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বেনাপোল বন্দরে স্থাপন হচ্ছে স্থায়ী মেডিকেল সেন্টার। এটি পরিচালনার জন্য থাকবে দক্ষ স্বাস্থ্যসেবী। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কঠোর তদারকিতে ভারতে যাতায়াতকারীসহ সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে উল্লেখিত সিদ্ধান্তের কথা জানান। অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এদিন বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে যান। ইমিগ্রেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র ও যাত্রীদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা।
এরপর বন্দরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় করোনাকালীন হেলথ স্ক্রিনিং এন্ড তদারকি বিষয়ক সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এনসিডি) ডাক্তার হাবিবুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনের চিফ অ্যাডভাইজার ডাক্তার নাসির আহমেদ, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়, বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ডক্টর নিয়ামুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী, নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আহসান হাবিব ও বিজিবি ক্যাম্পের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বন্দরের বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্ব পালনকারী ও বন্দর ব্যবহারকারী প্রত্যেককে বাধ্যমূলক মাক্স পরিধান করতে হবে। একই সাথে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিকেট দেখাতে হবে।
বন্দরে স্থায়ী মেডিকেল সেন্টার স্থাপনসহ সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনীয় জনবল পদায়নের চাহিদাপত্র প্রেরণ করার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের টিম বেনাপোল বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছার লাউজানীতে গাজীর দরগাহ মাদ্রাসার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন