সাতক্ষীরা জেলাবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বেতনা-মরিচ্চাপ নদীর জোয়ার-ভাটা প্রবাহমান রাখতে নদীর খননের সাথে টিআরএম পদ্ধতি চালু করার আহবান জানিয়েছেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এআহবান জানান।
নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি আদিত্য মল্লিকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আনিসুর রহিম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক এডঃ ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা জাসদ সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সরদার কাজেম আলী, অধ্যাপক ইদ্রীস আলী, ন্যাপের হায়দার আলী শান্ত, জেলা ভূমিহীন নেতা কওছার আলী ও আব্দুস ছামাদ এবং নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মোঃ মফিজুর রহমান, আবু সুফিয়ান সজল, শেখ শওকত আলী, আবু সেলিম, উৎপল মন্ডল, নাজমুল আলম মুন্না প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, শুধু নদী খনন করে নদী রক্ষা করা সম্ভব নয়। নদী বাঁচাতে হলে টিআরএম এর মূল কাজ। পাশাপাশি অন্ত:নদী সংযোগের মাধ্যমে নদী প্রবাহ ফিরে আসবে। কাকশিয়ালী আদি যমুনা সরাসরি ইছামতি নদীর সাথে যুক্ত আছে। এই নদীর মুখে কোন স্লুইজগেট নির্মাণ করা হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, কলারোয়া ভিই খালির মাধ্যমে নৌ খালের সাথে বেতনার সংযোগ ও কালীগঞ্জের উজিরপুর ত্রি-মোহনা থেকে মাধ্যমে আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদীর সংযোগ করতে হবে। সাতক্ষীরা বাঁচাতে টিআরএম পাশাপাশি অন্ত:নদী সংযোগ করা জরুরী। বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী পুরুজ্জীবনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খননের পাশাপাশি টিআরএম পদ্ধতি চালু করতে হবে। ১৫ লাখ মানুষকে দুর্যোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে এসব কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।
সভায় চলমান বেতনা-মরিচ্চাপ নদী খনন ও সংলগ্ন ৮২টি খাল সংস্কার ও খননের ৪৭৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ও একই সাথে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়েই নদী বাঁচানোর এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। একইসাথে টিআরএম প্রকল্পের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাগণের নিকট স্মারকলিপি প্রদানের মতামত ব্যক্ত করা হয়।
মতবিনিময় সভায় পানি কমিটির নেতৃবৃন্দসহ জেলার রাজনৈতিক, নাগরিক ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের সাথে জড়িত নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এস আই