করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৭০ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ২৪১ জন মানুষ। এছাড়াও দেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৭১ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮২ হাজার ৭০৬ জনকে। এছাড়াও এই সময়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৩ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ১৬ হাজার ২৭০ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৫ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৬ হাজার ৫০৮ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।