খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

বীজতলা হারিয়ে দুশ্চিন্তায় খুলনাঞ্চলের লাখো আমন চাষী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না খুলনাঞ্চলের কৃষকের। আম্পান, ইয়াস ও করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি। সেই সাথে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে অতি বৃষ্টিতে খুলনাঞ্চলের ১৫ শতাংশ আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্থ ৯২ হাজার নয়শ’ বিরানব্বই জন চাষী চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

আমন বাঁচাতে চাষী হাত পেতেছে গ্রাম্য মহাজনের কাছে। ক্ষতিগ্রস্থ জেলা গুলো হচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট। গত ২৬-২৯ জুলাই এ অঞ্চলে ২০৪.৭ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে খুলনার কয়রা, দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, রামপাল ও মংলা উপজেলায়। বিরি ২২, ২৩, ৪৭, ৫২, ৭৫, ৭৬, ৮৭, ও বিনা জাতের বীজই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধানের পাশাপাশি অতি বৃষ্টিতে তিন হাজার তিরানব্বই হেক্টর জমির পান ও শাক সবজি নষ্ট হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পুনর্বাসন প্রসংঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক জি এ গফুর বলেছেন, এবারের বীজতলা তৈরীতে একটু দেরী হবে। বিএডিসির কিছু অবিক্রি ধান কৃষকদের মাঝে বিলি করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট বীজ সরবরাহ করছে। এসিআই বিরি ৪৯ জাতের চার মেট্রিক টন বীজ কমমূল্যে সরবরাহ করেছে। যে সব উপজেলা বেশী বীজতলা হয়েছে সেখান থেকে অন্য উপজলোয় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের মধ্যে বিতরণের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম গত ৬ আগস্ট খামারবাড়ীতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জেলার ডিলাদের অবিক্রিত ছয় মেট্রিক টন বীজ নির্ধারিত মূল্যে, বিরি ও বিনা পাঁচ মেট্রিক টন এবং বায়ারের কাছ থেকে তিন মেট্রিক টন বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। তালা, কলরোয়া ও দেবহাটা উপজেলার অতিরিক্ত আমনের চারা আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে দেওয়া হবে।

বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের চাষী মোঃ সৈয়েদ আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা আট দিন জলাবদ্ধ ছিল। আট দিন বীজতলা জলাবদ্ধ থাকায় ধানের চারা পচে গেছে। নতুন পুঁজি না থাকায় বীজতলা তৈরী করতে পারছেন না। ডিলারের কাছে যেয়েও বীজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহত্তর খুলনায় এ মৌসুমে ১৮ হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা হয়। চার দিনের টানা বৃষ্টি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় দুই হাজার সাতশ ৮৬ হেক্টর জমির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!