নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের সিএন্ডবি চৌরাস্তায় মোর্শেদা ক্লিনিকে কর্মরত একজন নার্স বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকাস্হ শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , গত শনিবার ( ২৭ জানুয়ারী) সকালে লোহাগড়া পৌর শহরের সিএন্ডবি চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত মোর্শেদা ক্লিনিকে কর্মরত নার্স মোসা রিমি খানম(২২) নিজের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় শুকানোর জন্য ওই ক্লিনিকের ছাদে মেলে আসেন। দুপুর ১ টার দিকে নার্স রিমি ওই কাপড় আনার জন্য ছাদে গিয়ে দেখতে পান তার কাপড় উড়ে গিয়ে ৩৩০০০ ভোল্টের তারের উপর পড়ে রয়েছে। এ সময় নার্স রিমি একটি লোহার রড দিয়ে তারের ওপর ঝুলে থাকা কাপড়টি পেড়ে
আনার চেষ্টা করে।
এ সময় নার্স রিমি বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। উপস্থিত মানুষজন আহত রিমিকে উদ্ধার প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকাস্হ শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর আহত নার্স রিমি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া এলাকার শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘ রিমির শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে । তিনি সংকটমুক্ত নয়, তার চিকিৎসা চলছে’।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ওই ভবনের মালিক মো: লুৎফুন করীম কচি বলেন, বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে উচু করে প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছি,তার পরেও যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আমি কি করবো ?
মোর্শেদা ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ আমার ক্লিনিকের নার্স রিমি কিভাবে দুর্ঘটনায় হলো তা বুঝে উঠতে পারছি না। রিমি তো এর আগে সংঘটিত দুটি দুর্ঘটনার বিষয়ে অবগত থাকলেও কিভাবে দুর্ঘটনার পতিত হলো তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না’।
এ ব্যাপারে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর লক্ষ্মীপাশা জোনাল অফিসের ডিজিএম তরিকুল ইসলাম জানান, এ এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ তিনি পান নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/ টিএ