আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। প্রতি বছর বাজেটে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এ কারণে যশোরে এবার বেশ আগেভাগেই সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা। বুধবার থেকে সিগারেটের প্রতি শলাকা এক টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শহরের বেশকিছু সিগারেটের দোকানে ডার্বি প্রতি শলাকা ছয় টাকা, গোল্ডলিফ ১২ টাকা ও বেনসন ১৬ টাকা দামে বিক্রি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার কোম্পানির গাড়িগুলো কোনো দোকানে সিগারেট সরবরাহ করেনি। ফলে বাধ্য হয়ে স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সিগারেট কিনতে হয়েছে তাদের। দড়াটানার বেশকিছু দোকানি জানান, ডার্বির ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট গতকাল ৪৮ টাকা দামে কিনেছেন। অথচ একদিন আগেই এর দাম ছিল ৩৯ টাকা। ফলে খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি শলাকায় এক টাকা বেশি নিচ্ছেন তারা। একইভাবে গোল্ডলিফ ২০ শলাকার প্যাকেট দুশ’ টাকা থেকে বেড়ে দুশ’ ২০ ও বেনসন দুশ’৭০ টাকা থেকে বেড়ে দুশ’ ৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন ডিলাররা। খুচরা ব্যবসায়ীরা গোল্ডলিফ ১২ ও বেনসন ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অন্যান্য সিগারেট আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার এক দোকানি বলেন, যশোরে সিগাটের স্থানীয় ডিলার রয়েছে ছয়জন। বাজেটের আগে মে মাসে কোম্পানির সিগারেট সব তাদের কাছে চলে যায়। তারাই কারসাজি করে এক মাস আগেই সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেন। দড়াটানার দিলরুবা ট্রেডার্স থেকে সিগারেট কিনে বাধ্য হয়ে প্রতি শলাকায় তিনি এক টাকা বেশি নিচ্ছেন বলে জানান। তবে কিছু দোকানি আগের দামে সিগারেট বিক্রি করছেন।
এদিকে, বেশি দামে সিগারেট কিনতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা। সোহান নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর বাজেটের আগেই সিগারেটের দাম বাড়ে। অথচ জুন মাসে ঘোষিত বাজেট জুলাই মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। গত বছর বাজেটের দু’-তিনদিন আগে দাম বেড়েছিল। কিন্তু এবার বেশ আগেভাগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ডিলাররা। যা প্রতিরোধে যশোরে কেউ নেই।