বাগেরহাটে ১৮টি হরিণের চামড়াসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর বাজারের কাশেম প্লাজা নামক একটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে হরিণের চামড়াসহ এদের আটক করা হয়।
এসময়, চোরা কারবারিদের ব্যবহৃত ২টি মুঠোফোন ও নগদ দুই হাজার টাকা জব্দ করে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। শুক্রবার বিকেলে মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃত চোরা শিকারি ও জব্দ হরিণের চামড়া বাগেরহাট মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোঃ বজলুর রশীদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবনিয়া এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিন ফরাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল হাকিম(৫০) এবং শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মৃত আলী মিয়া হাওলাদারের ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম(৩৫)।
র্যাব-৬ খুলনার সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোঃ বজলুর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বারাকপুর বাজারের কাশেম প্লাজায় অভিযান চালিয়ে দুই চোরা শিকারিকে হরিণের চামড়াসহ আটক করা হয়। পরস্পর যোগশাজসে সুন্দরবন থেকে হরিণের চামড়া ও মাংস সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ বিলাসী মানুষের নিকট অধিক মুনাফার লোভে সরবরাহ করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করেছে চোরা শিকারিরা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মামলা দায়ের পূর্বক তাদেরকে বাগেরহাট মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এটাই এক সাথে সর্বোচ্চ হরিণের চামড়া আটকের ঘটনা নয়, এর আগে এবছরের ২৩ জানুয়ারি বাগেরহাট জেলা পুলিশ শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করেছিল।
খুলনা গেজেট/ এস আই