কাল চাঁদ দেখা গেলে পরশু ঈদ। ঈদের নামাজ পড়তে মুসল্লিরা যাবেন পাঞ্জাবি পরে, সাথে নতুন টুপি ও সুগন্ধি না হলে কী আর চলে। অধিকাংশের জামা কাপড় কেনা শেষ পর্যায়ে। বাকী এখন আতর আর টুপি। রোজার শেষ সময়ে এসে তাইতো ক্রেতারা ভিড় করছেন আতর-টুপির দোকানে।
নগরীর ডাকবাংলা মোড় ও ফুটপথগুলোতে বসেছে অস্থায়ী টুপি আর আতরের দোকান। বিক্রিও জমে উঠেছে সেখানে। তীব্র গরম ও জনসমাগমের কারণে সৃষ্ট যানজট ঠেকাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর টুকটাক বিক্রি হলেও রমজান মাসের শুরু থেকে তাদের ব্যবসা ভালো। এটা ঈদের আগের রাত পর্যন্ত চলবে।
ডাকবাংলা মসজিদ সংলগ্ন সুগন্ধির মালিক হুমায়ুন কবির মামুন জানান, রোজার শুরু থেকে দোকানে বেচা কেনা বেশ ভাল। তার দোকানে প্রায় দুইশত প্রকারের সুগন্ধি ও হরেক রকমের টুপি রয়েছে। এর মধ্যে ক্রেতারা ছয় ধরণের সুগন্ধি বেশী ক্রয় করেন। তার মধ্যে রয়েছে ক্লাসিক, দুবাই, সৌদি, আল নওইম, জেহাব ও হারামাইন। সুগন্ধিগুলো প্রতি মিলিগ্রাম ৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। টুপির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর চাহিদাও সেই রকমের। বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী টুপির চাহিদা বেশী।
অপরদিকে ডাকবংলা সুপার মার্কেটের আতর বিক্রেতা মোঃ রাশেদ জানান, রোজার প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পেলেও আজ দু’দিন তিনি দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। ক্রেতাদের চাপ সামলাতে অতিরিক্ত দুইজন কর্মচারি রেখেছেন। আতর ও টুপির চাহিদা বেশ । ফিরোজ কোম্পানী ও ষ্টোন দিয়ে তৈরী করা টুপির চাহিদা বেশী তার দোকানে।
দুই ছেলে নিয়ে শাহীনা সুলতানা বয়রা স্লুইচ গেইট থেকে সুগন্ধি কেনার জন্য ডাকবাংলা এসেছিলেন। তিনি জানান, নতুন জামা কাপড় কেনা হয়েছে। বাকী ছিল সুগন্ধি আর টুপি। ছেলেরা বায়না ধরেছে পাঞ্জাবী, টুপি ও আতর না মেখে জামাতে গেলে ঈদের নামাজ হবে না। তাদের আবদার মেটাতে এখানে এই ভিড়ের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে আসা।
খুলনা গেজেট/এনএম