বাংলাদেশ নিয়ে উসকানিমূলক ‘ভুয়া ও মিথ্যা’ খবরের ফাঁদে পা না দিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ নিয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তা না বলতে রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
মমতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের করণীয় ঠিক করবে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের নেতারা এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
তিনি বলেছেন, আমি সব গোত্রের মানুষদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করছি শান্ত থাকুন এবং সাম্প্রদায়িক কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যদি বাংলাদেশে আমাদের ভাইবোনরা সমস্যায় পড়েন তাহলে এটি কেন্দ্র সরকার দেখবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক কোনো কিছু শেয়ার না করার অনুরোধ জানিয়ে মমতা বলেছেন, বিজেপির কিছু নেতা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে অসঙ্গত কথাবার্তা বলছে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কিছু ভিডিও ও পোস্ট দেখেছি। যেগুলো শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে পারে। দয়া করে উসকানিমূলক ভিডিও শেয়ার করবেন না। ভুয়া তথ্যের ফাঁদে পা দেবেন না। রাজ্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে। শান্ত থাকুন এবং শান্তি বজায় রাখুন— যোগ করেন মমতা।
ছাত্র ও জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতের নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপরই ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়া ও উসকানিমূলক খবর প্রকাশ করা হয়। এতে করে ভারতের মানুষ মনে করতে থাকেন, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের হিন্দুরা ব্যাপক সহিংসতার মুখে পড়েছেন।
গুজব এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, পশ্চিমবঙ্গের এক বিজেপি নেতা দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি মানুষ ভারতে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি।
খুলনা গেজেট/এইচ