যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া এলাকার রয়েলের মোড় নামক স্থানে একটি ট্রান্সপোর্ট অফিসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ করে নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিসের মধ্যে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে।
জানা যায়, ভোরের দিকে হঠাৎ করেই বেনাপোল ছোট আঁচড়া রয়েলের মোড়ে নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিসে বিকট শব্দ হয়। এ সময় অফিসের শার্টার উড়ে যায়, দেওয়াল ফেটে যায় এবং আগুন ধরে সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পাশের দোকানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মার্কেট মালিক হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় মালিপোতা বৃত্তি আঁচড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে লিটন হোসেন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করার জন্য আমার মার্কেটে অফিস ভাড়া নেয়। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জানতে পারলাম তার কাজকর্ম ভালো ছিলো না। সে অবৈধ কাজের সাথে জড়িত। বোমার শব্দে চারিদিকে আতঙ্কের সৃস্টি হয়। লোকজন ছুটি আসে। বোমার আঘাতে অফিসের শার্টার উড়ে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে মার্কেটের দেয়ালে। যেকোন সময় দেয়াল ধসে পড়তে পারে। বোমার আগুনে অফিসে থাকা সকল জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী এসে বোমার আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ভোরের দিকে বিকট শব্দে এলাকার লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে রাস্তায় এসে দেখতে পাওয়া যায় ব্যস্ততম ছোট আঁচড়া সড়কের নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিসের মধ্যে আগুন জ্বলছে। এর শার্টার উড়ে গেছে এবং দেওয়ালের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। রাতে অফিস সময় বন্ধ থাকায় এবং দিনের বেলা না হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে আগুন লাগা নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিস সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এ সময় বোমা বানানোর উপাদান জালের কাঠি এবং সূতা উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরের দিকে নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিসে শক্তিশালী একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এ ব্যাপারে আলিফ ট্রান্সপোর্টের মালিক লিটন হোসেনের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি। লিটনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে জানান ওসি কামাল।
খুলনা গেজেট/এসজেড