বছরের শুরুতেই খুলনা মহানগরীর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের ভাড়া বাড়িয়েছে। এই নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে যাত্রী আর চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন মোড় ঘুরে জানা যায়, গল্লামারী থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৫ টাকা, সেই ভাড়া এখন নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। সোনাডাঙ্গা থেকে গল্লামারীর ভাড়াও ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রূপসা ঘাট থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১০ টাকা সেখানেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা মেডিকেল এবং বয়রা বাজার পর্যন্ত নতুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা। এছাড়া ২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দৌলতপুর থেকে কোর্ট এবং জেলখানা ঘাট পর্যন্ত।
গল্লামারী ও ময়লাপোতা মোড়ে বিভিন্ন ইজিবাইকে খুলনা ইজিবাইক শ্রমিক লীগের প্রস্তাবিত বর্ধিতভাড়ার একটি তালিকার দেখা মেলে। খুলনা ইজিবাইক শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী ইব্রাহীম মার্শাল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান মিলন স্বাক্ষরিত ওই তালিকায় নগরীর বিভিন্ন রুটের ভাড়া উল্লেখ রয়েছে।
নিরালার বাসিন্দা লতিফ হাওলাদার বলেন, গল্লামারী থেকে নিরালা এবং ময়লাপোতার ভাড়া ছিল আগে ৫ টাকা, এখন অটোতে উঠে নিরালা নামলেও ভাড়া চাচ্ছে ১০ টাকা। এমন অনৈতিক দাবি তো আর মানা যায় না। অটো চালকেরা ভাড়া বাড়িয়েছে, আমাদের তো আর বেতন বাড়েনি।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী কাওসার আহম্মেদ জানান, ‘ছাত্রাবাসে থেকে আমার মতো যারা টিউশনির টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালায় তাদের জন্য ৫ টাকা ভাড়া বেশিও অনেক প্রভাব ফেলে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এ বিষয়ে নজর দিবেন। সকল শেণীর মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছি।’
ইজিবাইক চালক ইসমাইল বলেন, ‘‘আগে ভাই রাস্তায় নামলে একদিনে গাড়ী ভাড়া দিতে হতো পাঁচ’শ থেকে সাড়ে পাঁচ’শ টাকা। আর এখন গাড়ী ভাড়া দেওয়া লাগে সাত থেকে আট’শ টাকা। সব কিছুরই দাম বাড়ছে, আমাদেরও তো সংসার চালাইতে হয়। ভাড়া না বাড়ালে আমরা চলবো কিভাবে।’’
খুলনা গেজেট/এমএম