বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম। বঙ্গবন্ধু একটি সাহসের নাম, একটি প্রেরণার নাম। আজকের দিনে জাতির জনকের আদর্শ, তার কর্ম থেকে আমার যদি শিক্ষা নিতে না পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের মানবতার মুক্তির নায়ক ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিশ^ মানবতার মুক্তির নায়ক।
মহান ব্যক্তিদের ছোট বয়স থেকেই চেনা যায়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি ছিলেন মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন। তিনি কখনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভুল করেননি। তিনি আজীবন গণতন্ত্রকামী ছিলেন। তিনি শোষনমুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তিছাড়া রাজনৈতিক মুক্তির কোন মূল্য নেই।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ সব কথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছু কুচক্রীরা চেয়েছিল এদেশের পাতাকাকে খামচে ধরতে। যে কারণে এই মহান নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিছু কিছু মৃত্যু আছে পাখির পালকের চেয়ে হালকা। আবার কিছু কিছু মৃত্যু আছে পাহাড়ের চেয়ে ভারী। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু ছিলো পাহাড়ের চেয়ে ভারী। যে কারণে তাকে হারানোর শোক বাঙালি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু আগেই এগিয়ে যেতে পারতো। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারতো। যেটি তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলো। সে স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে সকলকে একসাথে কাজ করার মানষিকতা থাকতে হবে। তিনি কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে এনে তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে আজ আমরা কোথায় থাকতাম সেটি কল্পনা করা যায় না। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তার কর্মের মধ্যেই সেই টুঙ্গিপাড়ার রাখাল বালক হয়ে উঠলেন বিশ্ববন্ধু।
“জেগে আছে সন্তানেরা” শ্লোগানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নূরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ূন কবির, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. শাহ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আইনজীবী সমিতিরসহ বিচার বিভাগের সকল বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার। পরে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই