র্যালী, আলোচনা ও সম্মাননা প্রদানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে খুলনায় উদযাপিত হয়েছে দৈনিক সংগ্রামের ৫০ বছর পূর্তি, সূবর্ণ জয়ন্তী। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি ও দৈনিক সংগ্রামের সাবেক ব্যুরো প্রধান অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমান অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর প্রমাণ করতে পতিত ফ্যাসিস্ট দিল্লীতে বসে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে বিভেদ ও অনৈক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা ফেয়ার, ফ্রি, ক্রেডিবল, পার্টিসিপেটরি ইলেকশনের মধ্যদিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্ব নিয়েছে। একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ অভিযাত্রায় এই সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। পতিত ফ্যাসিস্ট আবার ফিরে এসে এই জাতিকে ১৭ বছর আগের কালো যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। অনেক এজেন্সি তার সাথে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অকুতোভয় সূর্য্য সন্তানেরা এবং সকল দেশ প্রেমিক ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বার বার সে চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে। চারবার পাল্টা ক্যু করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জুুডিশিয়াল ক্যু, আনসার কান্ড, হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টার্ন বিভিন্ন ধরনের সম্প্রদায়িকদের নিয়ে এখানে রাজনৈতিক ট্রামকার্ড দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। এ দাবি, সে দাবি নিয়ে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার দৈনিক সংগ্রামের পথচলার সুদীর্ঘ ৫০ বছরের উত্থান পতন, ঘাত প্রতিঘাতের নানা ইতিবৃত্ত তুলে ধরে বলেন, দৈনিক সংগ্রাম সংগ্রাম করেই বেঁচে আছে। সংগ্রামের সাথে যারা অতীতে ছিলেন, এখন আছেন এবং আগামী দিনে থাকবেন তাদের সবার জন্য শুভ কামনা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মাত্র ৫ মাসে একটা নতুন সরকার এতো বড় কঠিন দায়িত্ব, এতোগুলো চ্যালেঞ্জ ফেস করবেন। না সংস্কার করবেন, না রিফার্ম করবেন, না ইলেকশন করবেন, স্টেক হোল্ডারের সাথে মতবিনিময় করে একটা ন্যাশনাল ইউনিটি গড়ে তুলবেন? কি করবেন তিনি? যারা এখন অর্ন্তবর্তীকালীন অরাজনৈতিক সরকারে আছেন, কেউ তো জোর করে ক্ষমতা নেননি। ড. প্রফেসর ইউনুস তাকে ছাত্রজনতা ডেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি তো এখনো বলেন, তারাতারি আমার দায়িত্ব পালন করে আামি আমার জায়গায় ফিরে যেতে চাই। অথচ প্রায় ২ হাজার ছাত্র জনতার জীবন, ৩০ হাজার আহত ছাত্রদের আহাজারি, অনেকের চোখ নেই, পা নেই, হাত নেই, মগজের ঘিলু বের হয়ে গেছে। অনেকের সাথে আমরা দেখা করেছি। তাদের কথা, চোখের পানি কান্না কোন জবাব আমরা দিতে পারিনি। এসব কি বৃথা হয়ে যাবে? সে জন্য আমরা আজকের এই মিলন মেলা থেকে সকল রাজনৈতিক শক্তি ও নেতৃবৃন্দকে আহবান জানাবো, ফ্যাসিবাদ দমনে সংগ্রামে আমরা এক সাথে মিলে মিশে রাজপথে থেকেছি। রক্ত দিয়েছি, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন ইস্যুতে আলাদা আলাদা মতামত থাকতে পারে। কিন্তু পতিত স্বৈরচারকে স্পেস করে দেয়, তাকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়, এমন কোন ইস্যু আমরা তৈরি করবো না।
দৈনিক সংগ্রামের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে খুলনা ব্যুরোর উদ্যোগে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দৈনিক সংগ্রামের পক্ষ থেকে দু’জনকে মরণোত্তরসহ ২৬জনকে সম্মাননা প্রদান। যাদেরকে সম্পাননা দেওয়া হয় তারা হলেন- খুলনা বিশ্বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসাইন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাব আহবায়ক এনামুল হক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মো. অনিসুজ্জামান, খুলনা প্রেসক্লাব সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মোহসীন আলী ফরাজী, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. আনছার উদ্দিন, খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সালাহ উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি মো. মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, ২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাকিব রায়হানের পিতা মো. আজিজুর রহমান।
এছাড়া দৈনিক সংগ্রামের সাবেক খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে যারা বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন শেখ সেফারুল ইসলাম (১৯৭৯) ও শেখ বেলাল উদ্দিন (১৯৯০-২০০৫)। মরনোত্তর সম্মানা গ্রহণ করেন, শহীদ সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দীনের মাতা বেগম মন্নুজাননেসা এবং মরহুম শেখ সেফারুল ইসলামের পুত্র শিবলি সাদিক।
অপরদিকে দৈনিক সংগ্রামের সাবেক খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুল খালেক আজীজী (১৯৭৯-১৯৮৪), অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (১৯৮৪-১৯৮৫), অধ্যাপক শেখ রেজাউল হক (১৯৮৫-১৯৯০), এম শোয়ায়েব টিপু (১৯৮৭-১৯৮৯)। দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্র্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানার সভাপতিত্বে এবং মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ দিদারুল আলম, এমইউজে খুলনার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, দৈনিক নয়াদিগন্তের খুলনা ব্যুরো প্রধান মো. এরশাদ আলী।
এর আগে বর্ণাঢ্য র্যালীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাপদক মোহাম্মদ আলী সনি, নির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খান, দৈনিক প্রবাহের নির্বাহী সম্পাদক এনামুল হক শাহেদ, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের বার্তা সম্পাদক অমিয় কান্তি পাল, চীফ রিপোর্টার সাহেব আলী, দৈনিক প্রবাহের বার্তা সম্পাদক মেহেদী হাসান, চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, দৈনিক যুগান্তরের খুলনা ব্যুরো প্রধান আহমদ মুসা রঞ্জু, একুশে টিভির আশরাফুল ইসলাম নূর, এস এ টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিবুল ইসলাম মতি, এখন টিভির হেলাল মোল্লা, খুলনা মহানগরী জামায়াতের ইসলামীর নগর সেক্রেটারি এড. জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও প্রিন্সিপাল গওসুল আযম হাদি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ডা. সৈয়দ আবুল কাসেম, খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গিয়াস, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার সভাপতি এম এ হাসান, সবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক পাপ্পু, দৈনিক দেশ সংযোগের স্টাফ রিপোর্টার কাজী শামীম আহমেদ, দৈনিক কালবেলার খুলনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ বশির হোসেন, ঢাকা পোষ্ট’র খুলনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন, দৈনিক আমার দেশ’র স্টাফ রিপোর্টার মো. কামরুল হোসেন মনি, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের মেহেদী হাচান খান, শেখ উজ্জল রহমান, দৈনিক ভোরের ডাকের সাংবাদিক আবুল হাসান চৌধুরী, খুলনা গেজেটের স্টাফ রিপোর্টার একরামুল হোসেন লিপু, ফটো সাংবাদিক এম এ সাদী, এনটিভির ক্যামেরাপার্সন আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক মানজারুল ইসলাম, ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সেলিম গাজী, সোহেল রানা, খুলনা জেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা প্রেসক্লাব ফুলতলার সভাপতি শামসুল আলম খোকন, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আল আমিন গোলদার, রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আসাদুজ্জামান, সাধারণ ইউশা মোল্লা, রূপসা প্রেসক্লাবের সাদারণ সম্পাদক খান আব্দুল জব্বার শিবলী, রূপসা উপজেলা সাংবাদিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সভাপতি মোল্লা মহব্বত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক সংগ্রামের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবু সাঈদ বিশ্বাস, যশোর জেলা প্রতিনিথি মশিউর রহমান, বাগেরহাট জেলা সভাপতি এডভোকেট তাজমুল ইসলাম, ফুলতলা উপজেলা প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি আবু উবায়দা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাকসুদ আলী, দৈনিক খুলনার বার্তা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ-সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান, রূপসা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম কচি, মো. আখতার খান, মোস্তফা কামাল, অজিজুল ইসলাম ফারাজী, আরাফাত হোসেন মিলন, জাগপার সালাউদ্দিন মিঠু, মো. রফিকুল ইসলামসহ খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করে প্রেসক্লাবের ইমাম মাওলানা ইউসুফ আলী। সব মিলিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় দৈনিক সংগ্রামের খুলনার ব্যুরোর সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। অনুষ্ঠানে শহীদ সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিন স্মরণে দুটি শহীদি গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এস এ মুকুল, নাবিল ও জিএম গোলাম রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিডিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসাইন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, খুলনার সংবাদপত্র জগতের সিনিয়র অনেকে এসেছেন এবং বক্তব্য রেখেছেন অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। সবাইকে তিনি আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা এ অনুষ্ঠান সফল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি তার জন্য দোয়া করেন এবং ধন্যবাদ জানান। তিনি সকলকে সংগ্রামের সাথে আহবান জানান।
খুলআ গেজেট/ টিএ